প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৯ আগস্ট, ২০২০, বুধবার
প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার
একাদশ ব্যাচ,
শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম), বরিশাল
গেল রাতে আমার শরীরের খবর নিতে ফোন করলেন একজন ডাক্তার, যিনি সপরিবারে কিছুদিন আগে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন৷ তার অবস্থা জানার জন্য অন্যদের কাছে ফোন করতাম এবং তার সুস্থতার কথা অন্যদের জানতাম৷ ভেতরের অনেক অজানা কথাই আমি জানতাম না, খুবই দুঃখজনক৷
সে নিজেই কাল যা বললো তা অনেকটা অবিশ্বাস্য মনে হল আমার৷ তার নিয়মিত অক্সিজেন লেগেছে, আইসিইউতে থাকতে হয়েছে কয়েকদিন, ইনজেকটেবল ওষুধ লেগেছে, লেগেছে হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা; শুধু ভেন্টিলেটরে যাওয়া বাকি ছিল৷
যখন ফুসফুস ৪০% আক্রান্ত তখন মুখে ওষুধ চলছিল৷ কেবিনেই অক্সিজেন দিতো৷ ওষুধের জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হল, মুখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন৷ ওষুধ বন্ধ করা হলে সিএমএইচের সুপরিচিত মুখ কর্নেল সাহেবের ফুসফুস ৬০% আক্রান্ত হয়ে যায় এবং তাকে দ্রুত আইসিইউতে শিফট করা হয়৷ সেখানে কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান, চিফ ফিজিশিয়ান মিলে কাল বিলম্ব না করে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে আইভি ওষুুুধ দেওয়া শুরু করে ও ম্যাজিকের মতো কাজ করে৷ অতঃপর ক্রমশ সে সুস্থতার দিকে পা বাড়ায়৷
অতএব কোনভাবেই খুব হালকাভাবে বিষয়টিকে নেয়ার সুযোগ নেই, অবহেলা করা হবে চরম বোকামি৷ যাদের ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ আছে তাদের সে সুযোগটুকু অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে৷ কভিড রোগীদের বেঁচে থাকার জন্য অদম্য ইচ্ছা ও নিজস্ব আন্তরিক প্রচেষ্টার বিকল্প নেই৷ এর সাথে উন্নত চিকিৎসা সেবা তো আছেই।