২৩ অক্টোবর ২০১৯:
সুনামগন্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীয় নেতার হামলার স্বীকার ডাঃ আক্তারুজ্জামান। গত ২১/১০/২০১৯ তারিখে (সোমবার) অত্র এলাকার আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম ও তার ছেলে সাইদুর রহমান বেঅাইনিভাবে ডাঃ আক্তারুজ্জামানকে মারধর করেন।
তিনি এ বিষয়ে থানায় আবদুল কাইয়ুম, তার ছেলে সাইদুর রহমান ও অজ্ঞাত আরেকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ২২/১০/২০১৯ তারিখ রোজ মঙ্গলবার চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে।
ডাঃ আক্তারুজ্জামান মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি সোমবার সকালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় আবদুল কাইয়ুম ও সাইদুর রহমান হাসপাতালে আসেন। কাইয়ুম নিজের সঙ্গে আনা একটি ইনজেকশন দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। কিন্তু আবদুল কাইয়ুমের কাছে ওই ইনজেকশন দেওয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থাপত্র ছিল না। ব্যবস্থাপত্র দেখতে চাওয়া হলে কাইয়ুম মোবাইলে নামহীন একটি ব্যবস্থাপত্র দেখান। এ জন্য তিনি কাইয়ুমকে বিনয়ের সঙ্গে পাশের কক্ষে নার্সের কাছ থেকে ইনজেকশনটি দিয়ে নিতে বলেন।
এ সময় কাইয়ুম পাশের কক্ষ থেকে ওই ইনজেকশন দিয়ে নেন। পরে ডাঃ আক্তারুজ্জামান এর কাছে ফিরে আসেন। এ সময় তিনি ও ছেলে সাইদুর হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। বিষয়টি দেখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বাধা দিয়ে হাসপাতালের বাইরে যেতে বলেন। তবে হাসপাতাল ত্যাগের কিছুক্ষণ পর কাইয়ুম ও সাইদুর আবার ফিরে আসেন। এবার তারা ডাঃ আক্তারুজ্জামানকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি মো. আবদুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত দাস এ ঘটনায় জড়িত সকল কে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, আবদুল কাইয়ুমকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর ছেলে সাইদুর রহমানকেও গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
স্টাফ রিপোর্টার/ ফাহমিদা হক মিতি