প্ল্যাটফর্ম নিউজ, রবিবার, ২৪ মে, ২০২০
দূর্যোগকালীন সময়ে সবসময়ই মেডিসিন ক্লাব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানুষের সেবায় সবসময় নিজেদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে “আর্তের সেবায় আমরা একটি পরিবার” নীতিতে বিশ্বাসী এই সংগঠনটি।
মেডিসিন ক্লাব- মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত এই সংগঠনটি সবসময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এবার অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে কিশোরগঞ্জের মেডিসিন ক্লাব, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট। ব্যতিক্রমধর্মী ৩টি প্রজেক্টের মাধ্যমে অসহায় ও দু:স্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটি।
প্রথম প্রজেক্ট: Smile For Angels
এই সংকটকালীন সময়ে ঈদের আনন্দ কিছুটা হলেও এতিমদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য মেডিসিন ক্লাব, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে এতিমদের মাঝে নতুন কাপড় বিতরণ সহ ৪ টি এতিম পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করার প্রত্যয়ে তাঁদের এই কার্যক্রম।
দ্বিতীয় প্রজেক্ট: Smile Of Hope
ঈদ মানে সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া।করোনা মহামারীর এই সংকটকালে অসহায় মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে কিশোরগঞ্জের মেডিসিন ক্লাব, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে গতকাল (২২ মে) ৩০ টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়। প্রত্যেকটি প্যাকেটের মাধ্যমে ২ কেজি পোলাও এর চাল, ১টি সেমাইয়ের প্যাকেট, ১/২ কেজি চিনি, ১ টি দুধের প্যাকেট, ১/২ লিটার তেল, ১/২ কেজি লবণ সরবরাহ করা হয়।
তৃতীয় প্রজেক্ট: Smile For Unsung Heroes
আমাদের জন্য তপ্ত আগুনের গরমের মধ্যেও যাঁরা রান্না করেন, আমরা ঘুম থেকে উঠার আগেই আমাদের জন্য যাঁরা তৈরি করেন নাস্তা, এমনকি কলেজ ও হোস্টেল সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যায়ও এগিয়ে আসেন আমাদের জন্য- তাদের আমরা ‘মামা-খালা’ ডাকি।
তাঁদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে, তাঁদের একটু সম্মানিত করতে মেডিসিন ক্লাব, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে এবং মাননীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, বিসিবি পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও অন্যান্য সকলের সহযোগিতায় অত্র কলেজ ও হোস্টেলের ৩০ জন স্টাফদের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং ১৫ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হয়।