প্ল্যাটফর্ম নিউজ,
মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০
দিনদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নতুন নতুন জেলায় মিলছে করোনা রোগীর সন্ধান। করোনার ছোবলে আক্রান্ত সমগ্র বাংলাদেশ!
কিশোরগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের তালিকা দিনদিন দীর্ঘতর হচ্ছে। জেলাটিতে সবচেয়ে আশঙ্কার দিকটি হচ্ছে ব্যাপক হারে চিকিৎসকদের করোনায় আক্রান্ত হওয়া। এ পর্যন্ত জেলাটিতে মোট ৪৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকাও বিশাল দীর্ঘ। এ পরিস্থিতিতে জেলার পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
“চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায় কোনো ক্রটি রয়েছে কিনা তা তলিয়ে দেখা দরকার।”
কেনো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
কেউ কেউ বলছেন,
“চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বরাদ্দ পিপিইগুলো মানসম্মত কিনা তা যাচাই করা প্রয়োজন।”
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাটিতে যে ১২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ৬৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী এবং পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
এ নিয়ে জেলাটিতে মোট ৪৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হলেন। সব মিলিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯৭জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। মারা গেছেন একজন। মৃত ব্যক্তির বাড়ি জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায়।
সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়,
“জেলাটিতে নতুন করে আরো ৬৭ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট আক্রান্ত ১৪১ জন।”
গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যাঃ
ভৈরবে সর্বোচ্চ ২০ জন, কিশোরগঞ্জ সদরে ৩ জন, তাড়াইলে ১০ জন, অষ্টগ্রামে ২ জন, মিঠামইনে ১৬ জন, কটিয়াদীতে ৯ জন, হোসেনপুরে ১ জন, ইটনাতে ৬ জন।
সারা দেশে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে গত ১৪ এপ্রিল থেকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর, ইটনা, কটিয়াদী, তাড়াইল ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও করোনা হানা দিয়েছে। তাই জেলাজুড়ে জরুরী স্বাস্থ্যসেবাও ধীরে ধীরে সীমিত হয়ে পড়েছে। সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা একেবারে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় তারা পড়ছে বেকায়দায়।
প্রসঙ্গত, করোনা প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হয়ে, নিজগৃহে অবস্থান করেই সুস্থ ও নিরাপদ থাকা সম্ভব।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়