কুইজে ঢাকা মেডিকেল কলেজের রয়েছে সুপ্রাচীন ঐতিহ্য।
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জ্ঞান জিজ্ঞাসা প্রতিযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ সেকেন্ড রানারআপ হয়।
১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে জ্ঞান জিজ্ঞাসাঃ জাতীয় সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মেডিকেল কলেজ দল। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন কে ৪০ ব্যাচের আবদুল হানিফ টাবলু স্যার। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক। এছাড়াও ছিলেন কে ৪১ ব্যাচের প্রিন্স এবং কে ৪৩ ব্যাচের মুনির। ডা মুনির হোসেন বর্তমানে এফআরসিএস করে গ্রেট ব্রিটেনে শিশু সার্জন হিসেবে কর্মরত। ডা প্রিন্স জাপান থেকে পিএইচডি করে বারডেম হাসপাতালে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে কর্মরত।
২০০৯,২০১১,২০১২,২০১৩ চার বছর ওয়ার্ল্ড কুইজিং চ্যাম্পিয়নশিপের বাংলাদেশ অধ্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এক ডাক্তার।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে ৬৪ ব্যাচের ছাত্র ডা আহমেদ ফায়েজি তমাল।
২০০৮ সালে বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড কুইজিং চ্যাম্পিয়নশিপ যখন প্রথম চালু হয় তখনও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে ৫৯ ব্যাচের ছাত্র ডা রিফাত হায়দার।
তিনি বর্তমানে আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটিতে হেলথ ইকোনোমিকসে পিএইচডিরত।
২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড কুইজিং চ্যাম্পিয়নশিপের বাংলাদেশ অধ্যায়ের রানার আপ ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে ৬৪ ব্যাচের ডা শেখ মাহমুদ হাসান সাগর।
২০১১ সালে ওয়ার্ল্ড কুইজিং চ্যাম্পিয়নশিপের বাংলাদেশ অধ্যায়ের রানার আপ কে ৬৬ ব্যাচের রজত দাশগুপ্ত। সে প্রতিযোগিতায় চতুর্থ হয় কে ৬৬ ব্যাচের মুশফিক রায়হান।
২০০৯ সালে ভিকারুননিসা নুন কলেজের চতুর্দশ বিজ্ঞান উৎসবে জ্ঞাতকালের প্রথম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কুইজের আয়োজন করা হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ। বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন কে ৬৪ ব্যাচের শেখ মাহমুদ হাসান সাগর এবং আহমেদ ফায়েজি তমাল। সাগর ভাই তমাল ভাই এর টীম মনে হয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের এ যাবত কালের সব থেকে সেরা টিম। এই কুইজে তৃতীয় হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের আরেকটি দল। কে ৬৪ ব্যাচের শাহরিয়ার রাজ্জাক মিমো এবং কে ৬৬ এর আরভি নাহার আশা ছিলেন সেই টীমের সদস্য।
২২ নভেম্বর ২০১২। আইবিএ কমিউনিকেশন ক্লাব আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কুইজে দ্বিতীয় রানারআপ হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ। প্রতিযোগীরা ছিলেন কে ৬৬ এর মুশফিক রায়হান, আরভি নাহার আশা , রজত দাশগুপ্ত, ফয়সাল হক জিহান এবং কে ৬৭ ব্যাচের ইমামুল মুন্তাসির ।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কুইজে দ্বিতীয় রানারআপ হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ। কে ৬৬ ব্যাচের রজত দাশগুপ্ত, কে ৬৭ ব্যাচের ইমামুল মুন্তাসির এবং কে ৬৯ ব্যাচের হিসাম আব্দুল মাজেদ।
৩১ মে ২০১৩।
আইইউটিতে ইন্টার ভার্সিটি কুইজ কম্পিটিশনে রানার আপ ডিএমসি দল।
কে৬৬ এর মুশফিক রায়হান, আরভি নাহার আশা এবং ফয়সাল হক জিহান।
২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে IFIC Bank DQS-SSMC Carnival Captive 2013 এ ডিএমসি আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কুইজে চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগীরা ছিলেন কে ৬৬ ব্যাচের রজত দাশগুপ্ত, কে ৬৭ ব্যাচের ইমামুল মুন্তাসির এবং কে ৬৯ ব্যাচের হিসাম আব্দুল মাজেদ।
২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর নটরডেম কলেজ আয়োজিত 5th NDNSC National Nature Festival 2013 এ পরিবেশ বিষয়ক কুইজে রানারআপ হয় কে ৬৯ ব্যাচের তাসনিম জারা।
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সেকেন্ড রানারআপ হয়েছে। প্রতিযোগীরা ছিলেন কে ৬৮ ব্যাচের নাদিয়া হোসেন, কে ৬৯ ব্যাচের সাদমান সৌমিক সরকার নিশম এবং কে ৭০ ব্যাচের তূর্য রহমান।
২০১৪ সালের ১৩ আর ১৪ জুন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) আয়োজিত হলো প্রথম গ্লোবাল হেলথ ফেস্টিভ্যাল। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ডিবেট অ্যান্ড কুইজ সোসাইটি এবং এআইইউবির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগের দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের গ্লোবাল হেলথ কুইজে রেকর্ড ৪৭০ নম্বর পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ কুইজ টিম ১।
বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন হিশাম আব্দুল মাজেদ, জয়ন্ত সেন আবীর এবং সাদমান সৌমিক সরকার নিশম। তারা সবাই কে ৬৯ ব্যাচের সদস্য। একই কুইজ প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ কুইজ টিম ২। কে ৭০ ব্যাচের তূর্য রহমান, জারিন তাস্নিম হায়দার এবং স্বপ্নিল সজীব তোফায়েল ছিলেন সেই দলের সদস্য।
২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে IFIC Bank DQS-SSMC Carnival Captive 2014 এ ডিএমসি আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কুইজে চ্যাম্পিয়ন হয়। বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন কে ৬৭ ব্যাচের ইমামুল মুনতাসির, কে ৬৯ ব্যাচের জয়ন্ত সেন আবীর এবং রাজিন হুমায়েদ।
২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ আয়োজিত DRMC Science Club Presents DRMC – Square 8th National Science Festival 2015 এ আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কুইজে ডিএমসি রানার আপ হয়। রানার আপ দলের সদস্য ছিলেন কে ৬৯ ব্যাচের জয়ন্ত সেন আবীর, কে ৬৯ ব্যাচের হিশাম আবদুল মাজিদ এবং কে ৭২ ব্যাচের রাতুল এশরাক। |
২০১৫ সালের ৫ জুন। ওয়ার্ল্ড কুইজিং চ্যাম্পিয়নশিপের বাংলাদেশ পর্বে ৫ম, ৭ম এবং ১১ তম হন আয়েশা রিনা (কে ৬৯), মিয়া আহমেদ যুবাইয়ের (কে ৬৯) এবং রাতুল এশরাক (কে ৭২)।
২০১৫ সালের ১১ জুন। ‘এসকেইফ চতুর্থ এনডিএফ বিডি-ডিএমসি ডিসি জাতীয় মেডিকেল কলেজ বিতর্ক ও কুইজ উৎসব’২০১৫। আন্তঃমেডিকেল কুইজ প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ। টিমের সদস্য ছিলেন আয়েশা রিনা (কে ৬৯), মিয়া আহমেদ যুবাইয়ের (কে ৬৯) এবং রাতুল এশরাক (কে ৭২)। সেকেন্ড রানার আপও হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ। টিমের সদস্যরা হলেন রাজেশ মিথুন (কে ৬৯), রাজিন হুমায়েদ (কে ৬৯) এবং ফয়সাল (কে ৭২)।
এখন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কুইজিং এর প্রচলন আগের থেকে অনেক বেশি। আশা করা যায় নতুন প্রজন্ম ঢাকা মেডিকেল কলেজের এই ঐতিহ্যের মশালকে সামনের দিকে বয়ে নিয়ে যাবে এবং জ্ঞানের এই চর্চায় অন্যান্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।
লেখকঃ ডা রজত দাশগুপ্ত