২৬ জুন ২০২০, শুক্রবার
ডা. মো. রিজওয়ানুল করিম (শামীম)
রোগতত্ত্ববিদ, সমন্বিত করোনা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১। হাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নির্বাচন করুন।
২। হাট বসানোর আগে মহামারী প্রতিরোধী সামগ্রী যেমনঃ মাস্ক, সাবান, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। পরিস্কার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন এবং নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন করুন।
৩। পশুর হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মচারী ও হাট কমিটির সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন।
৪। হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধির প্রশিক্ষণ দিন। তাদের মাস্ক ও ফেস শিল্ড প্রদান করুন। প্রশিক্ষণ এর মধ্যে জনস্বাস্থ্যের বিষয়গুলি যেমন মাস্ক এর সঠিক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিন।
৫। হাট কমিটির সকল কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা [Health Monitoring system] করুন। যারা অসুস্থ অনুভব করবে তাদের নির্ধারিত স্থানে আইসোলেসন এর ব্যবস্থা করুন এবং দ্রুততম সময়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
৬। গরুর হাটে প্রবেশের জন্য গেট (প্রবেশপথ ও বাহির পথ) তৈরি করুন এবং প্রবেশ পথে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র স্থাপন করুন।
শুধুমাত্র স্বাভাবিক তাপমাত্রা (৯৮.৪ ফারেনহাইট ) সম্পন্ন ব্যক্তিরাই হাটে ঢুকতে পারবেন।
৭। মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা-বিক্রেতা হাটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে প্রবেশপথে মাস্ক এর ব্যবস্থা করুন। কেউ ভুল করে মাস্ক না আনলে তাকে সতর্ক করে একটি মাস্ক দিয়ে দিন। এবং সঠিক নিয়মে মাস্ক পরার অনুরোধ করুন। ক্রেতা/বিক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কতৃপক্ষ চাইলে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করতে পারেন বা এর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
৮। একটি পশু থেকে আরেকটা পশুর দূরত্ব কমপক্ষে ৫ ফুট নিশ্চিত করুন।
৯। গণশৌচাগার গুলোতে হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে তরল সাবান, সাধারণ সাবান এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
১০। অনলাইনে কুরবানির পশু কেনা বেচাকে উদ্বুদ্ধ করুন।
১১। ক্রেতা/বিক্রেতাদেরকে মূল্য প্রদান ও বের হওয়ার সময় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করুন এবং সতর্কতার সাথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করুন। এর জন্য প্রয়োজনে ১ মিটার বা কমপক্ষে দুই হাত দূরত্বে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করুন।
প্রয়োজনে রেখা টেনে দিন বা গোল চিহ্ন দিয়ে দিন এবং কড়াকড়িভাবে শারীরিক দূরত্ব তদারকি করুন।
১২। হাটে ক্রেতা/বিক্রেতাদের সংখ্যা ও তাদের চলাচল সীমিত করুন।
১৩। স্পর্শ ব্যতিরেকে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা করুন, এবং লাইনে দাঁড়ানোর সময়কাল যেন কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রয়োজনে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউনটার এর সংখ্যা বাড়ান।
১৪ । হাট কমিটির সকলের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন এবং মাস্ক পরা নিশ্চিত করুন; হাতের পরিচ্ছন্নতার প্রতি লক্ষ্য রাখুন এবং হাঁচি দেয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে রাখার ব্যাপারে বলুন।
১৫। মাইকিং, পোস্টার এবং বুলেটিন বোর্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রচার করুন।
১৬। যদি হাটে সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিকে অবহিত করুন। প্রয়োজনে সিডিসির/স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করুন।