প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৪ মে ২০২০, রবিবার
কুয়েতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত বাংলাদেশীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজার। এদের মধ্যে সেখানকার দূতাবাসে কর্মরত চার কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন।
২৩ মে (শনিবার) রাতে কুয়েত দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মিসিলা এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামসহ স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই অনুবাদক এবং এক কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মনিরুল ইসলাম সহ তার সহযোগীরা সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম করতে গিয়েই করোনা আক্রান্ত হয়েছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। অনুবাদক হিসেবে কর্মরত লোকাল স্টাফের একজনের অবস্থা গুরুতর, আক্রান্তের পরপরই তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে কিন্তু এখনও তার অবস্থা অপরিবর্তিত। বর্তমানে কুয়েতের বিভিন্ন হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্টাফ এবং প্রবাসী শ্রমিকদের চিকিৎসা চলছে।
গত এপ্রিল এর ১২ তারিখে প্রবাসী কর্মীদের ত্রাণ দিতে গিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর মো.আমিনুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে কুয়েত সরকার দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিসহ অবৈধ শ্রমিকদের সাধারণ ক্ষমা দিয়ে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৮০০ জনকে বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে কুয়েত সরকার। আগামী ২৭ মে থেকে ১২ জুনের মধ্যে বাকিদেরও বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
কুয়েত সরকার এসব অবৈধ বাংলাদেশিদের একাধিক প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে রেখেছে। তাদের অনেকের পাসপোর্ট না থাকায় ট্রাভেল পাস বা টিপি সরবরাহ করতে হচ্ছে দূতাবাস থেকে, মূলত শ্রম উইংয়ের কাজ এটি।
কুয়েত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে শনিবার
নতুন করে ৯০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি ১৩৭ জন সহ মোট আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৪৮ জনে। এরমধ্যে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৫ জন। কুয়েতে মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৬৪ জন। মোট মৃত্যুের সংখ্যা ১৪৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৭৪৭ জন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলভিয়া মীম