২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা এই প্রথম এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেছেন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অ্যান্টিবায়োটিক৷ তারা আশ্বাস দিয়েছেন, এটি দিয়ে প্রায় ৩৫ ধরনের প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা সম্ভব৷ বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় এ আবিষ্কার যেন “নতুন যুগের” সূচনা৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন শক্তিশালী একটি অ্যালগরিদম এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে যা একদিনেই ১০ কোটির বেশি রাসায়নিক যৌগের তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে৷
এই প্রকল্পে যুক্ত এমআইটি’র জ্যেষ্ঠ গবেষক রেজিনা বারজিলে বলেন, “অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের দিক থেকে এমন ঘটনা এই প্রথম৷ এটি করা হয়েছে মানব মস্তিষ্কের আদলে তৈরি একটি অ্যালগরিদম দিয়ে৷”
বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যালগরিদমের মাধ্যমে ২৫ হাজার ওষুধ ও অন্যান্য বস্তু থেকে খুঁজে বের করেন, কোন ওষুধ বা উপাদানের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি৷ এরপর তারা শ’খানেক রোগীর শরীরে তা পরীক্ষা করেন৷ এরপরেই তারা নিশ্চিত হন, খুবই শক্তিশালী এক অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে এবার তারা সফল হয়েছেন৷ তারা এর নাম দিয়েছেন হালিসিন৷
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এমআইটির বায়োইঞ্জিনিয়ার জেমস কলিন্স বলেন, “আজ পর্যন্ত যত অ্যান্টবায়োটিক আবিষ্কার হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী৷”
সাম্প্রতিক সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন অণুজীবের সংখ্যা বেড়েছে৷ ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শুধু ইংল্যান্ডেই এই হার বেড়েছে ৯ শতাংশ৷ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সঠিক না হলে শরীরে বসবাসকারী ক্ষতিকর অনেক ব্যাকটেরিয়াই এক পর্যায়ে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে৷ ফলে ওই ধরনের ওষুধ পরবর্তী সময়ে আর ওই ব্যাকটেরিয়া সমূহের বিরুদ্ধে কাজ করে না৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ঘোষণা করেছে,বর্তমান বিশ্বে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর একটি হলো এই অণুজীব৷
সূত্র :বিবিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক/সজীব কুমার