০৭ এপ্রিল, ২০২০: কেরানীগঞ্জে জিনজিরাবাগ ও শুভাঢ্যা পূর্বপাড়া হিজলতলা এলাকায় তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনটি এলাকার প্রায় ত্রিশটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা চর রঘুনাথপুর এলাকার এক ব্যক্তি এবং গত রোববার জিনজিরাবাগ এলাকার এক ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীর শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার পরীক্ষার ফল পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পূর্বপাড়া হিজলতলা এলাকার এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত শনিবার তার শরীরের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।সোমবার তার পরীক্ষায় ফলও পজিটিভ আসে। দুপুরেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিকেলে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অপর দুইজন ব্যক্তিকে রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন কেরানীগঞ্জের জিনজিরা চর রঘুনাথপুর, জিনজিরাবাগ ও শুভাঢ্যা পূর্বপাড়া হিজলতলা এলাকার করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এবং লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি এই তিনটি এলাকার প্রায় ৩০টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন বলেন, এই তিন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে এই তিন এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকার কারও খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়িতে তা পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। এই ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, জিনজিরাবাগ ও হিজলতলায় এলাকার প্রতিটি প্রবেশমুখে পুলিশের পাহারা থাকবে। এই এলাকার নিরাপত্তা বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া লকডাউনে থাকা এলাকাবাসীর খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য সমস্যায় আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাশতুরা জান্নাত মৃদুলা