৬ এপ্রিল, ২০২০: বাংলাদেশে যা হওয়ার হয়ে গেছে!
এই চেইন রিএকশন থামানোর কোনো রিএক্টর বাংলাদেশের হাতে নেই।
সেক্ষেত্রে চিন্তা করা যেতে পারে, যাদের কারনে এই অতি বিপর্যয় হয়েছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা। যারা জানেন না ভুল কী, তাদের কে দিয়ে ভুল শুধরানোর চেষ্টা নিজের পায়ে কুড়াল মারা ছাড়া আর কিছুই না।
এই মুহূর্তে চিন্তা করা উচিৎ, কোভিড-১৯ এ যারা মারা যাবেন, তাদেরকে কিভাবে সৎকার করা হবে?
যেহেতু পাঁচশো ভেন্টিলেটর আছে সেক্ষেত্রে মরনাপন্ন রোগীকে বাঁচানোর চিন্তা পুরোপুরি বাদ দিতে হবে।
এতে সময়, সংক্রমন, অর্থ, সম্পদের অপচয় ছাড়া কিছুই হবে না।
ভেন্টিলেটর মেশিন থাকলেই হবে না, সাথে দক্ষ জনবলও লাগবে। এই সংখ্যাটা অনুমিত সমস্যার তুলনায়, সাগরে পেশাব করার মতো।
সেক্ষেত্রে যে করেই হোক মরনাপন্ন রোগীকে বাসায় রাখতে হবে। এবং যারা কম মাত্রায় আক্রান্ত তাদেরকেও বাসায় রাখতে হবে।
তাহলে আমরা প্রায় নব্বই শতাংশ রোগী ম্যানেজ করতে পারবো আর বাকী দশ ভাগ রোগী যারা নিউমোনিয়ার রোগী কিন্তু ভেন্টিলেটর লাগবে না তাদেরকে হাসপাতালে এক টা ডেডিকেটেড ওয়ার্ডে কিংবা ফিল্ড হাসপাতালে ভর্তি করা যেতে পারে।
এতেও প্রায় লাখ লাখ রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকবে। তাদেরকে যদিও ভেন্টিলেটর ইন্ট্রোডাকশন এর দরকার হয়, তাহলে তাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দিতে হবে।
বয়সে অনেক কম তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিন্তা করা যেতে পারে।
এবং এটা নিশ্চিত, আমরা যদি মরনাপন্ন রোগী বেশী বাঁচাতে চেস্টা করি, সেক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
তাই আমাদেরকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে ম্যানেজেবল সংখ্যার দিকে।শক্তি এবং শ্রম দিয়ে যদি আমরা খারাপ রোগী বেশী বাঁচাতে চেস্টা করি সেক্ষেত্রে সম্পদ লাগবে বেশী, আউটকাম হবে কম।
আরেকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই।আগামী সাত দিন পর মানুষকে গুলির ভয় দেখিয়েও ঘরে রাখা যাবে না। তাই এখন থেকেই চিন্তা করতে হবে স্প্রেডিং কিভাবে কমানো যায়।
সেক্ষত্রে, নারীপুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে মাস্ক দেয়া যেতে পারে। মাস্ক অবশ্যই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কমাবে।
তাই ‘সব ভাবে মরে’ না গিয়ে চৌদ্দ তারিখের পর বাংলাদেশ কিভাবে বাঁঁচবে তার চিন্তা এখনই করতে হবে!
সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে কিভাবে সচল রাখা হবে সবাই মিলে এখনই ঠিক করতে হবে।
এখন পর্যন্ত যতগুলো দেশ এ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে তাদের সবাই বাংলাদেশের চেয়ে বেশী সক্ষম। তাই বাংলাদেশ যদি সেসব দেশ থেকে ‘খরচ বেশী হয় সে পদ্ধতিগুলো ‘ধার করে তাহলে বাংলাদেশের দেউলিয়া হওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না।
বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত এবং কাজ করার জায়গাগুলি নিজের সক্ষমতা এবং ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক, জয় বাংলা।
ডা সেলিম শাহেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক/ শরিফ শাহরিয়ার