প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩১শে মে, ২০২০, রবিবার
গত ৩০ শে মে (শনিবার) ৮ বছর বয়সী অগ্নিদগ্ধ নারিফার অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেন রাজধানীর শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা। প্রতিষ্ঠানটির সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আহমেদউজ জামানের তত্বাবধানে সার্জারী ইউনিট-১ এবং এনাস্থেসিয়া টিমের দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টায় অপারেশন সম্পন্ন হয়।
করোনার এই দুঃসময়ে মার্চ মাসের শেষের দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে অতি দরিদ্র ঘরের মেয়ে নারিফার পিঠ এবং পেছনের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। চা বিক্রেতা বাবার আর্থিক সামর্থ্যে না কুলানোয় হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সুযোগ হচ্ছিলনা মা হারানো ছোট্ট মেয়েটির। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কুল করতে না পেরে চিকিৎসাহীন অবস্থায় ঘরে বসে ছিল টানা ২২ দিন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সাথী তাৎক্ষণিকভাবে নিজে দায়িত্ব নিয়ে নারিফাকে অধ্যাপক ডা. আহমেদউজ জামান এর কাছে পাঠান। সেখানে তাকে ফ্রি বেড এ ভর্তি করে রাখা হয়। অপুষ্টিতে ভোগা মেয়েটির জন্য প্রতিদিন ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন কর্মরত ডাক্তাররা। অনেকটা চামড়া পুড়ে যাওয়ায় স্কিন গ্রাফটিং করার সিদ্ধান্ত হয়, অপরদিকে তার হিমোগ্লোবিন ছিল ৫.৬। এমতাবস্থায় প্রয়োজনীয় রক্ত দিয়ে, প্রোটিন জাতীয় খাবার খাইয়ে তাকে অপারেশনের উপযোগী করা হয়।
এই সময়ে নারিফার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সিদ্ধ ডিমের জোগান দিয়েছেন রোকসানা রহমান রুম্পা। ঈদের ছুটির ছয় দিন যাতে কষ্ট না হয় এজন্য তাকে বিশেষ নজরে রেখেছিলেন ডা. তাসনিম তমা, ডা. জাহিদুর রহমান নাঈম, ডা. ফাতেমা শামস আন্না। আর দায়িত্ব নিয়ে সবার কাছে গিয়ে গিয়ে টাকা সংগ্রহ করেছেন ডা. মিনহাজ মাহমুদ সরকার অভি।