২০ মার্চ ২০২০: কোনও যুগান্তকারী আবিষ্কারের নেপথ্যে বহু মানুষের অবদান থাকে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ত্রাস করোনা ভাইরাসকে বাগে আনতে ওষুধ ও প্রতিষেধক আবিষ্কারে মরিয়া হয়ে উঠেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। সোমবার থেকে মরণ ভাইরাস করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে এক মার্কিন নারী, জেনিফার হ্যালার এর দেহে। জেনিফার হ্যালার নিজ ইচ্ছায় করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।এরপর পর্যায়ক্রমে আরও দুইজনকে এই পরীক্ষামূলক ডোজ প্রয়োগ করা হয়।
৩৪ বছর বয়সী জেনিফার হ্যালারের দুই সন্তান আছে।তিনি একটি স্টার্টআপের অপারেশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।
সিয়াটলের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা একটি কমিউনিটির সদস্যরা সবার আগে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে গ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন। সেই ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হলেন জেনিফার হ্যালার। এরপর নিজের বাড়িতেই আবস্থান করছেন জেনিফার। তিনি বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর আমি খুব ভালো আছি। আমার হাতে কোনোও যন্ত্রণা হয়নি। এটি অন্যান্য ফ্লুর ভ্যাকসিনের চেয়ে অনেক ভালো।’ করোনাভাইরাসের টিকায় পরীক্ষামূলক প্রয়োগে জেনিফার হ্যালারের অংশগ্রহণকে সমর্থন করেছেন অটানলির প্রধান নির্বাহী স্কট ফেরিস। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁর এই ভ্যাকসিন নেওয়ায় গর্বিত।’
করোনা-ভ্যাকসিন নেওয়া তালিকার দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী হলেন মাইক্রোসফটের নেটওয়ার্কের কর্মী নিল ব্রাউনিং। তিনি ছাড়া আরও একজন এই ডোজ নিয়েছেন। মোট তিনজন সোমবার এ প্রতিষেধক নেন।
ভ্যাকসিনটির নাম মর্ডানাস ‘এমআরএনএ-১২৭৩’। ভ্যাকসিনটিতে সার্স-সিওভি-২ করোনভাইরাস থেকে মেসেঞ্জার আরএনএর নিষ্ক্রিয় খণ্ড ব্যবহার করা হয়। এ পরীক্ষার প্রথম দফার লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের শরীরের জন্য নিরাপদ কি না, তা পরীক্ষা করা। গবেষকদের দাবি, এতে ভাইরাসের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় সংক্রমণের ঝুঁকি নেই। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে কায়সার পারমানেন্তের গবেষক লিসা জ্যাকসনের নেতৃত্বে একদল গবেষক এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কতখানি কার্যকর, তা পরীক্ষা করে দেখবেন।
স্টাফ রিপোর্টার/নুরুন্নাহার মিতু