নিজস্ব প্রতিবেদক,
২১ মার্চ, ২০২০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আজ করোনা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক এমপি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে নতুন কোভিড-১৯ পাওয়া গেছে ৪ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে সর্বমোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৪ জন যার মধ্যে ৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২ জন।
সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১৭,৬৭৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে আক্রান্ত না হওয়ায় ২৫০১ জন কোয়ারেন্টাইন হতে ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন। এখনো কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৫,১৭২ জন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে রাখা ১৮৭ জনের মধ্যে ১০৭ জন ছাড়া পেয়েছেন এবং বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪০ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো জানান, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য আরো ৭ টি স্থান নির্দিষ্ট করা হবে। কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গত ২৮ ঘন্টায় মোট আক্রান্ত ২৬১ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। ইউরোপের মত ব্যাপকভাবে এখনো না ছড়ালেও করোনা ভাইরাসের সুপ্তাবস্থা ও অতিউচ্চ সংক্রমণের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলেও তা বাড়বে ভয়ংকরভাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় বিমান, সমুদ্র, স্থলবন্দরে বিদেশ হতে আগত ৫৭২৮ জন কে স্ক্রিণিং করা হয়েছে। যার মধ্যে বিমানযোগে এসেছেন ১১০৪ জন, সমুদ্রবন্দরে ১৭৫ জন, স্থলবন্দরে ৪৪৪৯ জন। বৈশ্বিকভাবে কোভিড-১৯ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় অদ্যাবদি স্ক্রিণিং করা হয়েছে ৬,৫১,৪৭০ জনকে। যার মধ্যে শুধু বিমানযোগেই এসেছেন ৩,১৯,১৯৬ জন। সমুদ্রবন্দরে ৮৯৪৬ জন, রেলযোগে ৭০২৯ জন এবং স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রবেশ করেছেন ৩,১৬,২৯৯ জন।
মোবাইল ফোনে গত ২৮ ঘন্টায় মোট ফোন কল সেবা গ্রহণ করেছে ২৭,২৬৫ জন। যার মধ্যে স্বাস্থ্য বাতায়ন(১৬২৬৩) সেবা দিয়েছে ২০,৩১২ জনকে, ৩৩৩ এই নম্বরে সেবা পেয়েছে ৩২২৮ জন এবং আইইডিসিআর সেবা দিয়েছে ৩৭২৫ জনকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক অন্যান্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গাইডলাইন প্রণয়ন যেমনঃ Home care for patients with COVID-19 presenting with mild symptoms, COVID-19(নোভেল করোনা ভাইরাস) সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা ও তার উত্তরসমূহ, নোভেল করোনা ভাইরাস-২০১৯ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে Personal Protective Equipment(PPE) এর যুক্তিসংগত ব্যবহার এবং নোভেল করোনা ভাইরাস-২০১৯ জীবাণুমুক্ত করণ এবং পরিবেশগত সংক্রমণ রোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা।