প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৯ মে ২০২০, মঙ্গলবার
গত ১৬ মে ২০২০ রাত আটটায় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক পেজে আয়োজিত হয় কোভিড-১৯ এর কমিউনিটি এবং নন-ক্রিটিক্যাল কেয়ার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এক ওয়েবিনার। উক্ত ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন –
১. ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ
কিডনি বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক
টেম্পল ইউনিভার্সিটি, জাপান
২. ডা. ইউসুফ আল মামুন
সহকারী অধ্যাপক, কুইন্স হসপিটাল, নিউ ইয়র্ক
৩. ডা. ফরহাদ উদ্দীন চৌধুরী মারুফ
সংক্রামক রোগ এপিডেমিওলজিস্ট,
রেজিস্ট্রার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন ডা. প্রীতম দাশ। তাদের এই আলোচনার সার সংক্ষেপ তুলে ধরা হল –
প্রশ্ন- আমরা জানি যে, কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য RT-PCR টেস্টে খুব ভালো সংখ্যক রেজাল্ট False negative আসে। কিন্তু রোগীর কোভিড- ১৯ এর সাধারণ লক্ষণসমূহ আছে, এক্ষেত্রে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?
ডা. জিয়াউদ্দীন আহমেদ –
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় যে, RT-PCR এ টেস্ট রেজাল্ট False negative আসে এবং সে সংখ্যাটাও যথেষ্ট পরিমাণ। আমার এক কলিগ তার পর পর দুইবার RT-PCR টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ আসলো কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো তার বৃদ্ধ মা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। তার মানে False negative রেজাল্টের জন্য একটা মিথ্যা নিশ্চয়তা তৈরী হচ্ছে রোগীদের মধ্যে যা কিনা কোভিড-১৯ সংক্রমণে ভূমিকা রাখছে।
এক্ষেত্রে Temple University তে আমরা একটা কাজ করে থাকি, আমরা একজন রোগীকে দেখার জন্য দুইটা ব্যাপার লক্ষ করি – RT PCR এর পজিটিভ রেজাল্ট এবং রোগীর symptom test।
RT- PCR টেস্ট পজিটিভ আসলে সে অবশ্যই কোভিড-১৯ ইউনিটে ভর্তি হবে।
এখন ব্যাপার হলো, RT-PCR রেজাল্ট আসতেও কিন্তু সময়ের প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আমরা রোগীর symptom গুলা দেখি। রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী CT scan of chest কিংবা Chest X- ray করি। CT scam ও Chest X ray Findings যদি পজিটিভ থাকে, সেক্ষেত্রেও আমরা রোগীকে কোভিড -১৯ ওয়ার্ডে ভর্তি করাই।
সহজ কথায়, কোভিড- ১৯ এর লক্ষণ সমূহ থাকার পর RT-PCR নেগেটিভ আসলেও রোগীর ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রশ্ন- কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরুতে আমরা দেখেছি, ক্রিটিক্যাল পেশেন্টদের জন্য ভেন্টিলেটর নিয়ে বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩৬% কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর Acute Kidney Injury হচ্ছে এবং Renal Failure হচ্ছে। ডায়ালাইসিস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এরকম acute condition গুলোতে আমাদের কি করা উচিত?
ডা. জিয়াউদ্দীন আহমেদ-
কোভিড- ১৯ আক্রান্ত রোগীরা কিন্তু বিভিন্ন acute condition নিয়ে আসে,হতে পারে acute asthma বা acute kidney injury। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপার তা হলো, লক্ষণসমূহ দেখা দেওয়ার শুরু থেকেই রোগীকে নিয়মিত মনিটরিং এ রাখা। রোগী হাসপাতালে আসার পূর্বে বাড়িতে অবস্থান করার সময় তাদেরকে উপযুক্ত মনিটরিং করা। এরজন্যে আমাদের মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পিপিই ও নির্দেশনা দিয়ে প্রস্তুত করা যেতে পারে।
Acute Condition এর জন্য পালসঅক্সিমিটার দিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করাটা একটু জরুরি বিষয়। এটি রোগীর অবস্থা বুঝতে সাহায্য করবে এবং দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া যাবে। দেশে হয়ত স্বল্পতা আছে পালসঅক্সিমিটারের, তবে এটা ব্যবস্থা করতে পারাটা হবে খুব সুন্দর একটা পদক্ষেপ। আপনারা উদ্যোগ নিলে আমরা ফান্ড ব্যবস্থাও করতে পারি।
প্রথমদিকে কোভিড-১৯ এর জন্য ভেন্টিলেটরকে গুরত্বপূর্ন মনে করা হলেও এখন দেখা যাচ্ছে ডায়ালাইসিসও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড- ১৯ এর রোগী বিভিন্ন কারনে kidney failure এর দিকে যায় যেমন- severe hypoxia হলে Renal tubular cell গুলো মারা যায়, shock, cytokine storm, কিংবা hypercoagulable condition এর জন্যও Renal cell destruction হচ্ছে। এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করতেই হবে। বাংলাদেশে এখন প্রাইভেট হাসপাতালগুলো এক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত। আমেরিকাতে কিন্তু বেশিরভাগ চিকিৎসাই হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে। বাংলাদেশেও প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ডায়ালাইসিসের জন্য এগিয়ে আসতে পারে এতে করে সংকটাপন্ন রোগীরা সহজেই ডায়ালাইসিস করতে পারবে।
আমরা আমেরিকাতে ডায়ালাইসিসের বিকল্প হিসেবে Continuous Renal Replacement Therapy (CRRT) ব্যবহার করছি। এতে করে একজন রোগীর সরাসরি contact এ না গিয়েও ডায়ালাইসিসের মতোই কাজ চলতে পারে। এতে করে হেমোডায়ালাইসিস করার জম্য স্ট্রেসফুল কন্ডিশন সেটাও হবে না। বাংলাদেশে যেহেতু কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড ডায়ালাইসিস ইউনিট সংখ্যা কম, তাই আমরা CRRT চালু করতে পারি।
এখন আসি কিডনি রোগীদের ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। ফ্লুইড ARDS কে aggravate করতেছে কিন্তু কিডনী রোগীদের জন্য অবশ্যই সহায়ক হবে। ফ্লুইড দেয়ার শুরুতেই আমরা Dehydration কে clinically asses করে নিয়ে ফ্লুইড শুরু করবো। এক্ষেত্রে serum electrolytes ও দেখতে পারি আমরা।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর জ্বর হয়, জ্বরের জন্য কিন্তু শরীর থেকে ফ্লুইড লস হয়। এক্ষেত্রেও আমরা salty fluid মুখে পান করার জন্য দিতে পারি।
এখানে কিছু কথা যোগ করতে চাই, কোভিড -১৯ এর চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা যেনো কিছুটা early শুরু করতে পারি। যেমন হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দিলেও সেটা যেনো আক্রান্ত হওয়ার শুরুতেই দিয়ে দিই এতে করে receptor ব্লক হবে। receptor block না হলে ত ট্রিটমেন্ট শুরু করে লাভ হবে না।তাই যে ট্রিটমেন্ট ই দিই তা যেনো শুরুতেই করা হয়। নতুন নতুন স্টাডি আসবে সামনে সেগুলোতেও নজর রাখব আমরা।
এরপর ডা. ইউসুফ মামুন কোভিড-১৯ নিয়ে আলোচনা করেন, কুইন্স হসপিটালে তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে।
তিনি প্রথমে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে কথা বলেছেন কারণ যখন প্রথম 2-3 দিনের মধ্যে নিউ ইয়র্কে এপিডেমিক আকারে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়লো তখন সকল হসপিটাল আউটডোর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ ছাড়া। তিনি বলেন,
“টেলিমেডিসিনের প্রথমদিকে কলগুলো আসতো এমন সব পরিবার থেকে যাদের কারো আত্মীয় স্বজন মারা গিয়েছে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে অথবা করোনার কিছু উপসর্গ নিয়ে, বা তাদের পরিবারের কেউ হসপিটালে ভর্তি হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। টেলিমেডিসিনের একটি সমস্যা ছিল, সেখানে ইনভেস্টিগেশন করা যায় না তবে ভিডিও কলে যতটুকু সম্ভব রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে দেখার চেষ্টা করা হয়, শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে রোগী যা বলেছেন তা শুনেই ঔষধ প্রদান করা হয়েছিল, সাথে প্রয়োজন মনে হলে ভিডিও কনফারেন্স করার চেষ্টা করেছিলাম।
কোভিড-১৯ সাস্পেক্ট হলে সাথে সাথে আলাদা হতে বলতাম এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলতাম পরিবার এর সকলের থেকে, অর্থাৎ আইসোলেশন এ যেতে বলতাম, নিয়মিত হাত ধোয়া ইত্যাদি উপদেশ দিতাম, যারা সর্দি-কাশি জ্বর নিয়ে সেবা চাইতো তাদের ক্ষেত্রে এজিথ্রোমাইসিন বেশি ব্যবহার করতাম আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ব্যবহার করেছিলাম, প্রথমদিকে এমনকি এখনো এই হাইড্রোক্সাইড ক্লোরোকুইন লিখলে ফার্মেসিতে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ এটি হাসপাতলে সংরক্ষণ করা হয়, হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য। তাই এজিথ্রোমাইসিন এর সাথে ইদানিং ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহার করি আমরা, এগুলো কাজ না করলে পেশেন্ট যদি হাইপোক্সিয়া তে না ভোগে, বাসায় অবস্থান করে থাকে, তখন তাকে আমরা দিনে তিন-চার ঘণ্টা prone পজিশনে (উপুড় হয়ে) শুয়ে থাকতে বলি।
রোগীদের কে সবসময় NSAID, মরফইন অথবা এ্যাডরিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলেছি।
জ্বর এর সাথে যদি হৃদরোগ না থাকে তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে বলা হয়েছিল। এখানে বাংলাদেশের মত ওরাল স্যালাইন পাওয়া যায় না যার বদলে গেটোরেট ফ্লুইড দেয়া হয়, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ জুস, এবং যদি সম্ভব হয় ভিটামিন ডি এবং জিংক সালফেট গ্রহণ করতে বলেছি রোগীদের। পাশাপাশি অন্যান্য রোগের জন্য তাঁরা যে ঔষধ গ্রহণ করতেন সেগুলো রেগুলার খেতে বলেছি।
রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে 911(ইমার্জেন্সি নাম্বার) এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে এনে হসপিটালে পাঠানোর জন্য উপদেশ দিয়েছি।
যারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বা যাদের পরিবারের কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাদেরকে পালস রিডার মেশিন দিয়ে বাড়িতে প্রতিদিন শরীরের তাপমাত্রা এবং পালস পরীক্ষা করে জানাতে বলেছি।
শ্বাসকষ্টের জন্য ইনহেলার ব্যবহার করতে বলেছি। নেবুলাইজার পদ্ধতি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলেছি কারণ এতে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা খুব বেশি।
গরম পানি খেলে কোভিড-১৯ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ভেবে অনেকে অতিরিক্ত পরিমাণে গরম পানি লেবু দিয়ে, তেজপাতা দিয়ে বা আদা দিয়ে মিশিয়ে পান করেন যার জন্য তাদের ইসোফেজিয়াল ইরিটেশন হয় (গলার ভিতরে খাদ্যনালীর প্রদাহ) এমন সমস্যা নিয়েও অনেকে এসেছেন আমাদের কাছে সেবা নিতে,।তাই বারবার বলতে চেয়েছি আমি তাদের এবং বলি যে কুসুম গরম পানি খেতে পারেন কিন্তু গরম পানি দিয়ে ভাইরাস কে মেরে ফেলতে পারার সম্ভাবনা খুবই।
রোগী যেন সবসময় তার আশেপাশের হাসপাতাল সম্পর্কে জানে কারণ তাকে যে কোন সময় হাসপাতালে যেতে হতে পারে।
প্রথম দিকে আমাদের পিসিআর পরীক্ষা করতে তিন থেকে চার দিন সময় লাগত কিন্তু এখন ২০-৭১ ঘন্টা যথেষ্ট। যেহেতু পরীক্ষার ফলাফল আসতে 72 ঘন্টা সময় লাগে তাই আমি ভাইটাল সাইন, লিম্ফোপেনিয়া, চেস্ট এক্সরে দেখে চিকিৎসা শুরু করতাম। সব সময় অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে, কারণ রোগীরা বেশিরভাগ শ্বাসকষ্টের জন্য হসপিটালে আসেন।
আমি প্রথমদিকে রোগীদের nasal cannula দিয়ে ৫ থেকে ৬ লিটার অক্সিজেন দিতাম যদি তাদের শ্বাসকষ্ট থাকতো। রোগী যেহেতু যথেষ্ট পরিমাণ দুর্বল তাই অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে আমি হেপারিন শুরু করতাম। অক্সিজেনের অভাব বোধ করার সাথে সাথে যদি পালস রেট বেশি থাকে তাহলে চিকিৎসা দেয়ার আগে সিটিস্ক্যান করিয়ে ছিলাম। আমার মনে আছে আমি তিনজন রোগীকে সিটিস্ক্যান করেছিলাম যাদের তিনজনেরই কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছিল।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমার কাছে যেসব রোগী এসেছিল কোভিড-১৯ নিয়ে তাদের মধ্যে পাঁচ ভাগেরও কম রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ছিলনা। কারণ তাদের ইমিউনিটি সিস্টেম ভাল ছিল এবং তারা ছিল যুবক-যুবতী। কিন্তু বাকি ৯৫ শতাংশ রোগী কিছু না কিছু রোগে আক্রান্ত ছিল, কেউ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়, কেউ কিডনি জনিত সমস্যায়, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা সহ আরো আনেক রোগে আক্রান্ত ছিল।
কোভিড-১৯ ছাড়া অন্যান্য রোগীরা তাদের রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল।”
তিনি ২য় সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে high flow oxygen, নেগেটিভ প্রেসার রুম, hydroxychloroquine/doxycycline ওষুধের ব্যবহার, tocilizumab/dexamethasone/convalescent plasma therapy কখন কিভাবে ব্যাবহার করা হয় বলেন এবং তার সাথে supportive চিকিৎসা চালানোর কথা বলেন।তিনি জানান, “বর্তমানে remdisivir ব্যবহার করা হচ্ছে।যে সকল রোগীদের অবস্থা বেশি খারাপ থাকে তাদের জন্যে remdisivir ব্যবহার করা হচ্ছে।”
কিছু ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে কভিড১৯ আক্রান্ত রোগীর অবস্থার উন্নতি বা অবনতি সম্পর্কে জানা যায়। এর মধ্যে lymphocyte count, c-reactice protein, ferritin, d-dimer, IL-6 গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনা এগিয়ে চলে। সংক্ষেপে যা পাওয়া যায় –
নিউইয়র্কে বাংলাদেশিরা আক্রান্ত হওয়ার কারন:
১) জীবনমান – একটা রুমেই হয়ত অনেকগুলো মানুষের গাদাগাদি করে বসবাস।
২) দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতা/উদাসীনতা – হয়তো বিদেশি দোকানে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন, কিন্তু বাংলাদেশি কারো দোকানে গিয়ে সেটা আর মানছেন না।
নিউ ইয়র্কে ৩০০ এর অধিক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের অধিকাংশেরই অন্যান্য রোগ যেমন
Heart disease, COPD, Asthma ইত্যাদি ছিল।
ন্যাশনাল গাইডলাইন
Hydroxycholoroquine+Doxycycline
Hydroxycholoroquine+Azithromycin. (USA,India study) but evidence level low!
#prophylaxis— Exposed healthcare person to covid19 positive patient..
High Quality antiviral drugs not for routine use,only in senior consultant’s advice
⭕Plasma Convalescent Therapy
Advantage—-
Low cost
Available
যেহেতু established কোনো treatment নেই, যতগুলা suggested treatment আছে, একেকটাকে arm হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
Rt-PCR & Rapid antibody test
চিনে এক গবেষণায় জানা যায়, ১৯ দিনের মধ্যে ১০০% এন্টিবডি শরীরে চলে আসে। এই এন্টিবডি পরীক্ষা Mass screening এ ইউজ করা যেতে পারে বলে একজন মন্তব্য করেন। অন্যরা কোনো মন্তব্য করতে চান নি।
স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস, গাউন, ফেসশিল্ডকে অগ্রাধিকার দিতে বলছেন সকলেই।
এরপর ডা: মারুফ বাংলাদেশে কোভিড ১৯ এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাতাল এ ২ টা ভবন কোভিড ১৯ এর চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এর বার্ন ইউনিট এবং ভবন-২ কে করোনা ইউনিট বানানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বাইরের দেশের মতো করে বাংলাদেশে কমিউনিটি লেভেল এ ম্যানেজমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এর জন্যে একটি ঘাটতি। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ডক্টরস পুল টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে মৃদু সমস্যাজনিত রোগীদের জন্যে symptomatic চিকিৎসা সেবা প্রদান, জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারেও জানান তিনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নতবিশ্বের তুলনায় কোভিড ১৯ সাসপেক্ট রোগীদের নমুনা সংগ্রের এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতার দিকটি তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশ বর্তমানে convalescent plasma therapy এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান এবং এ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গত কিছুদিনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সংক্রমিত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়ে বলেন। সংক্রমণ প্রতিরোধে আরো সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। কিছু ব্যবস্থাপনা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো দিনরাত ব্যস্ত থেকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে বলে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
অনুলিখন ও সংকলন:
১. আমির মাহমুদ প্রান্ত
২. সাদিউল ইসলাম
৩. ফির দাউস আলম
৪. আনিসুর রহমান রিয়াদ