প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৯ জুন ২০২০, শুক্রবার
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
কোভিড- ১৯ জটিলতা কমাতে আপনার চারপাশে দেখুন, যোগাযোগ করুন বন্ধু-স্বজন, পরিচিত জন এবং প্রতিবেশীদের সাথে এতে কাটবে নিঃসঙ্গতা। মুখোমুখি দেখা সাক্ষাৎ এর বিকল্প কখনোই প্রযুক্তি নয়, তবুও এখন এর সাহায্য নিয়ে যেতে পারে:
১। প্রতিবেশী, বন্ধু- স্বজন দের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে গ্রুপ খুলে ফেলুন কুশল বার্তা আদান- প্রদান করুন এতে মন ভাল হবে।
২। নিজে হালনাগাদ থাকার জন্য আর সংস্পর্শে থাকার জন্য ব্যবহার করুন ফেসবুক।
৩। ভার্চুয়াল পাব কুইজ করতে পারেন, আমরা সবাই হাসতে চাই, জানতে চাই, সংযুক্ত থাকতে চাই। এছাড়া শ্রেষ্ঠ উপায় হলো পুরনো সেই টেলিফোন হাসা-হাসি, স্মৃতির আদান প্রদানেও মন ভাল করে। হোক অল্প সময়ের কিন্তু মন ভাল করার জন্য এটি কম নয়।
সুস্থ থাকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে আমাদের আহার ব্যবস্থাপনা। আহারে মেনে চলতে হবে কিছু ব্যবস্থাপনা:
১) জনপ্রিয় স্বাস্থ্য লেখক ডা. মেহমেত অয বলেন, “বেশির ভাগ রোগী যারা করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এদের ওজন বেশি, এদের ডায়েবেটিস বা উচ্চ রক্ত চাপ বা কোন ক্রনিক রোগে আক্রান্ত। আর ক্রনিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন সঠিক ওজন, স্বাস্থ্যকর আহার, ব্যায়াম, আর প্রচুর ঘুম আর বিশ্রাম। তিনি বলেন, চিনি, লবণ আর মাংস কম খেতে হবে আর সবজি বেশি খেতে হবে”।
২) সপ্তাহে এক দিন মাংস খাবেন, ওজন কমানো আর ইমিউনিটি বাড়ানো জন্য সবজি প্রধান খাবার, সাইড ডিশ নয়। ক্রনিক রোগ থেকে মুক্ত না হতে পারলে কোভিড- ১৯ ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
৩) ৬০ বছর বয়স্ক ডা. মেহমেত অয বলেন, “স্বাস্থ্যকর আহার আর ব্যায়ামের মূর্ত প্রতীক, শক্ত সবল ধারালো মানুষ বেশির ভাগ নিরামিষ আহার করেন, মাঝে মঝে সামান্য গোস্ত (খেতে মন চাইলে) আর লবণ কম খাবেন। সকালে দেরিতে প্রাতরাশ, দুপুর দুটায় সবজি বহুল দুপুরের খাবার এবং রাত আটটার আগে রাতের খাবার”।