৫ এপ্রিল, ২০২০: দেশের সব ধরনের পোশাক কারখানা আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
কোভিড১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশ যখন অবরুদ্ধ, তখন ৫ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানা খোলার কথা শুনে ঢাকায় আসতে শুরু করেন পোশাক শ্রমিকেরা। যান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকেই পায়ে হেঁটেই ঢাকার পথ ধরেন। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের নজরে আসলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরকম সময়ে এত মানুষ হঠাৎ ঢাকায় চলে আসলে করোনা সংক্রমণের হার কী রকম ভাবে বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।
এমতাবস্থায় শনিবার রাতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক এক অডিও বার্তায় বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য সব কারখানা মালিক ভাই-বোনদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে শ্রমিক ভাই-বোনদের এটাও আশ্বস্ত করতে চাই যে, তারা তাদের মার্চ মাসের বেতন পাবেন। এটা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার কারণে কোনো শ্রমিক যাতে চাকরিচ্যুত না হন সব পক্ষকে এই অনুরোধটুকু করছি।”
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের সংগঠনভুক্ত সব কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিজিএমইএর অধীনে ৩২০০ এবং বিকেএমইএর অধীনে ২২০০ কারখানা চালু আছে বলে দুই সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে। এসব কারখানায় ৪০ লাখের মতো শ্রমিক কাজ করেন বলে মালিকরা দাবি করে আসছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অভিষেক কর্মকার জয়