নিউজ ডেস্ক, শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০
বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যথাযথ মাত্রায় সুরক্ষার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রায় ৩০ ভাগ কমিয়ে আনা যেতে পারে। তবে একজন ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করে সেইসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহার শেষে ফেলে দেয়ার ক্ষেত্রেও চাই যথাযথ সচেতনতা। অন্যথায় এই সুরক্ষা সামগ্রীর মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পরতে পারে।
গাইনোকোলজির সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা রশীদ স্বাতি বলেন, সাধারণ মানুষ যেভাবে গ্লাভস, মাস্ক বাড়ির অন্যান্য আবর্জনার সাথে ফেলছেন বা রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন সেটা খুবই অবৈজ্ঞানিক। যেহেতু বোঝার উপায় নেই কোন বাড়িতে কারো করোনা ভাইরাস আছে কিনা, তাই ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী জীবাণুমুক্ত করে তারপর প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ব্যাগের মুখ বন্ধ করে তারপর ফেলা উচিৎ। এতে করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তা আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারবে।
যেভাবে জীবাণুমুক্ত করবেন :
ব্লিচিং পাউডার দিয়ে জীবাণুনাশক বানিয়ে বোতলে ভরে রেখে তা দিয়ে ব্যবহৃত সামগ্রীতে স্প্রে করতে হবে।
বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ বর্জ্য থেকে পুনঃব্যবহার এর জন্য নানা সামগ্রী সংগ্রহ করেন। বর্জ্যের স্তূপ থেকে ব্যবহৃত এসব পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভস সংগ্রহ করছে ও পরে তা পুনঃ ব্যবহার হচ্ছে। ফেলে দেয়া সুরক্ষাসামগ্রী পরিষ্কার করে আবার বাজারে বিক্রি করার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশেষ করে গ্লাভস। তাই গ্লাভস জীবাণুমুক্ত করার পর তা উল্টো করে খোলা উচিৎ। এরপর গ্লাভসগুলোকে যদি একটু কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়া যায়, মাস্ক একটু আগুনে পুড়িয়ে ফেলা যায় তাহলে তা রিসাইকেল করে বিক্রি করা সম্ভব হবে না। পিপিই বা সার্জিক্যাল ক্যাপ ফেলে দেয়ার ক্ষেত্রেও একই কাজ করা উচিৎ।
বাড়িঘরে উৎপাদিত বর্জ্য ফেলতে প্রতিদিন পলিথিনের ব্যাগ/ বিন ব্যাগ ব্যবহার করা উচিৎ। বালতিতে রেখে সেটি ময়লার ভ্যানে তুলে না দিয়ে ব্যাগে ভরে, ব্যাগের মুখ গিট দিয়ে তবেই বর্জ্য সংগ্রহকারীকে দেয়া উচিৎ।
বাসাবাড়ি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে এরকম সব সামগ্রী আলাদা করে প্যাকেট করে দিতে হবে। করোনা থাকুক বা না থাকুক। ব্যক্তি পর্যায়ে এইটুকু সবার করতে হবে এই মুহুর্তে।
প্রতিটা ওয়ার্ডে আলাদা কন্টেইনার ডেজিগনেট করে – যারা বাড়ি থেকে ওয়েস্ট কালেক্ট (বর্জ্য সংগ্রহ) করছেন তাদেরকে প্যাকেটগুলো সেখানে রাখতে হবে। সেগুলো নিয়ে পরে ল্যান্ডফিলে পুড়িয়ে ফেললে বর্জ্য জীবাণুমুক্তকরন সম্ভব।
তবে যারা আবর্জনা সংগ্রহ করবে তাদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি যতটুকু সম্ভব মেনে, সুরক্ষা সামগ্রী পরে সকল ব্যবস্থা নিয়েই আবর্জনা সংগ্রহ ও বাকি কাজগুলো করাতে হবে।
সূত্রঃ বিবিসি