প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার
কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে অনন্য অবদান রাখায় ‘কোভিড হিরো’ পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।
গত শুক্রবার রোটারি ইন্টারন্যাশনাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল শেরাটনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্টের পক্ষে প্রায় ২ হাজারের অধিক রোটারিয়ানের উপস্থিতিতে এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল রিজওনাল পাবলিক ইমেজ কো-অর্ডিনেটর এস এম শওকত হোসাইন। করোনা শুরুর প্রাক্কালে করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক ও সতর্কতামূলক কাজকর্ম শুরু করেন ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় করোনার লক্ষণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধ বিষয়ক নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। বিভিন্ন সরকারি সভা, সেমিনার ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও আয়োজন করেন কোভিড বিষয়ক নানা সেমিনার। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে গঠিত বিভিন্ন টাস্কফোর্সে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেন ডা. আবদুল্লাহ। পুরস্কার পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,
“গত দেড় বছর চেষ্টা করেছি কোভিড নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে যখন চীনে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে তখন থেকেই এ বিষয়ে অধিক জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করেছি। করোনা নিয়ে প্রতিনিয়ত শিখেই যাচ্ছি। আর সেই জ্ঞানের মাধ্যমে চেষ্টা করছি সচেতনতা বাড়াতে। আমার এই পুরস্কার সেসব চিকিৎসকদের উৎসর্গ করছি যারা করোনায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে মারা গেছেন এবং যারা এখনও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।”
কর্মজীবনের শুরুতে ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন। পাঁচ বছর সৌদি আরবে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার পর ১৯৯২ সালে লন্ডনের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানে ভর্তি হন। সেখান থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করে দেশে এসে হলিফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে দুই বছর পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) যোগদান করেন। পরবর্তীতে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং মেডিসিন বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১৯ সালে তিনি সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৬ সালে তিনি একুশে পদক পান এবং ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।