৬ এপ্রিল, ২০২০ঃ
কোভিড-১৯ মহামারীতে ফ্রটলাইনে থেকে সেবা প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
করোনা আইসোলেশন ইউনিটে নিয়মিত দায়িত্ব পালন শেষে কোয়ারান্টাইনে থাকা একজন চিকিৎসক শোনালেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথাঃ
*করোনা ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে মানসিকভাবে কি প্রস্তুত ছিলেন?
– কাজ করতেই হবে। একজন চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব থেকে সরে আসতে পারি না এই সময়।
এর সাথে সরকারের নির্দেশ ও আছেই।
*ইউনিটে কাজ করার সময় কি কি সমস্যায় পড়েছেন রোগী নিয়ে?
– যেহেতু রোগী কম ছিল খুব একটা সমস্যা হয় নি। এমনিতে যেভাবে ওয়ার্ড করা হয় সেভাবেই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া।
শুধুমাত্র সবাইকে PPE পড়তে হয় এটাই পার্থক্য।
তাছাড়া PPE আছে এখন, তবে রোগী বাড়লে তখন PPE পর্যাপ্ত পরিমাণ নাও থাকতে পারে। আর কোয়ালিটি নিয়ে আপাতত চিন্তা করা ছেড়ে দিয়েছি।
*আর কি কি ব্যবস্থা নিলে সমস্যা দূর করতে সুবিধা হতো?
– PPE থাকা লাগবে অবশ্যই,
Triage এর ব্যবস্থা করা এখন জরুরী, যাতে অন্য কোন রোগী কষ্ট না পায়।
Test এর ফলাফল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাতে পেলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়।
Suspected Case নেগেটিভ আসলে যেন তাড়তাড়ি নির্দিষ্ট কোন হাসপাতালে পাঠানো যায় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন এখন।
*বর্তমানে Suspected Case এর জন্য কোন হাসপাতাল নেই, সেই Case গুলোও কি আপনারেই দেখছেন?
– হা
*কোয়ারেন্টাইন সময় কিভাবে কাটাচ্ছেন? কি সুযোগ সুবিধা আছে?
– এই সময়টায় কোন কাজ নেই। যেখানে আছি এই জায়গাটা প্রথমে অথোরিটি দিতে চায় নি, তবে আরো উপরের অথরিটির অর্ডার এর কারণে দেওয়া। তার মানে চিকিৎসা দেওয়ার পরও ব্যাপারগুলো অনিশ্চিত, কোথাও জায়গা পাওয়া নিয়ে।
খাবার হাসপাতাল থেকে দিচ্ছে। এই জায়গায় থাকা – খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও, কোন কর্মচারী নেই। আমাদের কোয়ারেন্টাইনে আসা চিকিৎসকদের ব্যাপারে শুনে এখানের সবাই চলে গেছে। জায়গাটা পরিষ্কার করার পর্যন্ত এখন কেউ নেই।
*যারা ভবিষ্যতে করোনা ইউনিটে কাজ করবেন তাদের জন্য পরামর্শ কি পরামর্শ দিবেন?
– ভয় সবার মধ্যেই থাকে, তবে তা জয় করতে হবে।
*আবার কবে যোগ দিচ্ছেন? এ কাজের জন্য বাড়তি কোন ছুটি পাবেন?
– কোয়ারেইন্টাইন শেষ হওয়ার পর সাতদিন ফ্যামিলির সাথে থাকতে হবে, এরপর যোগ দিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ সুবহে জামিল সুবাহ