প্ল্যাটফর্ম নিউজ, বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ
– ডা. মেহেদী হাসান
আজকের দিনটা অন্য দিনগুলোর মত নয়। ডিউটি থেকে ফিরেই কোনকিছু স্পর্শ না করেই ঢুকে গেছি মেহেরিমার রুমে। করোনাকালের বাকি দিনগুলোর জন্য মেয়ের রুমটা দখল করেছি। আপাতত এটাই আমার ঘাটি। ডিউটি পরবর্তী কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড কাটবে এখানেই।
আমি ফেরার আগেই মেহেরিমার মা সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়েছে রুমটা। কুরআন তো ব্যাগেই থাকে, পড়ব বলে ঠিক করে রাখা বাকি বইগুলোও টেবিলের উপর সাজিয়ে রেখেছে। পরিপাটি ঘরটাতে যত্ন ও ভালবাসার ছাপ স্পষ্ট।
পরিবর্তিত এ ব্যবস্থায় মেহেরিমার ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। কাচের বাইরে থেকে নানা অঙ্গভঙ্গি করে আমাকে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে। মাঝখানে কাচের বাধা থাকলেও বাপ বেটির খেলা থেমে নেই। মায়ের ফোন থেকে ভিডিও কল করে খোজ খবরও নিচ্ছে।
মেহেরিমার মায়ের মন খারাপ। আমারো টুকটাক। আমি অবশ্য মনে মনে খুশি হয়েছিলাম অনেকদিন পর একটু একা হয়ে শান্তিমত কিছু বই পড়তে পারব বলে। তবে এই একাকিত্ব যতটা উপভোগ্য হবে ভেবেছিলাম ততটা হচ্ছে না। কাচের ওপারে অস্পর্শ দূরত্বে থাকা ভালবাসায় ভরা ছলছল চোখদুটো কবি-মনকে কিছুটা অপ্রস্তুত করে দিয়েছে।
এই করোনাকাল
কতকিছু দিয়ে গেল!!
কতকিছু নিয়ে গেল!!