প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩ আগস্ট, ২০২১, সোমবার
গতবছর দেশে করোনা মহামারীর প্রাক্কালে রংপুর নগরীর নবনির্মিত শিশু হাসপাতালকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোভিড স্পেশালাইজড হাসপাতাল ঘোষণা করা হয় যা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের হাসপাতালের সস্প্রসারিত অংশ। সেখান থেকে শুরু হয় রংপুর করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালের কার্যক্রম। অল্পদিনের মধ্যেই নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে পরবর্তীতে রংপুর অঞ্চলে করোনা রোগীর চিকিৎসার অন্যতম ভরসার স্থল হিসেবে পরিণত হয় হাসপাতালটি, বিভিন্ন মহল হতে অর্জন করে নেয় ভূয়সী প্রশংসা ও পুরস্কার।
শুরু থেকেই হাসপাতালটিতে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের (সর্দার, ক্লিনার, ওয়ার্ডবয়) একাংশকে নিয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া যায়। ডিউটি রোষ্টারে নাম থাকলেও তারা ডিউটি করতনা বলে জানা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে উক্ত কর্মচারীবৃন্দ দীর্ঘদিন যাবত এভাবে নিজ দায়িত্ব পালন ব্যতিরেকেই মাসিক বেতন ও ভাতাদি উত্তোলন করে যাচ্ছিলেন। উক্ত কর্মচারীরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হসপিটালের অভিযোগ ও প্রমাণের প্রেক্ষিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এ সিদ্ধান্তেই ক্ষুব্ধ হয়ে উক্ত ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা ১ আগস্ট ২০২১, রবিবার কর্মচারী নেতা আশিকুর রহমান নয়নের প্ররোচনা ও নেতৃত্বে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরীর কক্ষের সম্মুখ দ্বারে স্তূপ আকারে ময়লা আবর্জনা ফেলে আসেন। সেইসাথে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের মাধ্যমে লাঞ্ছিতও করেন তারা। শেষ খবর পাওয়া অবধি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়েরের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।