গত ২রা জুলাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র অমিত রায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। খুলনার নিউমার্কেট এলাকায় একটি বাস একটি ইজিবাইক কে চাপা দিলে আরও অনেক যাত্রীর সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অমিত এর মারাত্মক ভাবে হেড ইনজুরি হয়। প্রথমে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। রোগীর আই সি ইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হওয়াতে এবং অবস্থার খুবই অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় নিতে বলা হয়। রোগীর লোকেরা তাকে ঢাকা না নিয়ে খুলনাতে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে তাকে আই সি ইউ তে নেওয়া হয়। সেখানে ও অবস্থার অবনতি হওয়াতে রোগীর লোকেদের পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলা হয় এবং বলা হয় ঢাকা নিতে তারা রাজী কিনা। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ক্যম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে একদল ছাত্র গাজী মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাক্তার বাপ্পা কে অপহরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যায়। পরে বি এম এ এবং গাজী মেডিকেল কর্তৃপক্ষের এর হস্তক্ষেপ এ পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তাকে উদ্ধার করে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পক্ষ থেকে জানানো হয় চিকিৎসক রোগী দেখতে দেরি করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। খোজ নিয়ে জানা যায় রোগী ভর্তির সময় গাজী মেডিকেলে ডাক্তার ইফতার করছিলেন, ইফতার দ্রুত শেষ করে রোগীকে নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ দেখেন এবং রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে বলেন।
এই ঘটনায় গাজী মেডিকেল সুনির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করে কতিপয় ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করে। আসামী গ্রেফতার না হওয়াতে ২ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তারপরও গ্রেফতার না হওয়াতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. শেখ বাহারুল আলম এর নির্দেশনায় প্রথম ২ দিন শুধুমাত্র প্রাইভেট চেম্বার,প্রাইভেট হাস্পাতাল,ক্লিনিক,ডায়াগনস্টিক সেন্টার সব বন্ধ রাখা হয়। তারপরের ২ দিন আগের গুলোর সাথে সরকারি হাস্পাতালের আউটডোর ,প্যাথলজী,রেডিওলজী বিভাগ বন্ধ রাখা হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ), খুলনা প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার এসোসিয়েশন যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করে। বর্তমানে আন্দোলন ৭ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে,৭ দিনের মধ্যে আসামী গ্রেফতার না হলে ১৬-১৭তারিখে আবারো সব প্রতষ্ঠানে ধর্মঘট চলবে।