প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৮ জুলাই ২০২০, বুধবার
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অ্যান্টিবডি কিটের অস্থায়ী নিবন্ধন চেয়ে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করেছে। ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্টকে আমলে এনে তারা এই আবেদন করেছে। গত ৬ জুলাই সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এক বিবৃতিতে এ কথা নিশ্চিত করে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ‘জি আর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লটকিট’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়,
“আমরা অ্যান্টিবডি কিটের উন্নত সংস্করণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে আমাদের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্ট সারাংশ এবং এন্টিবডি ডিজাইন করে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক বরাবরে জমা দিয়েছি। আমরা আমাদের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্টকে আমলে এনে অস্থায়ী নিবন্ধনের আবেদন করেছি। ঔষধ প্রশাসন অ্যান্টিবডি কিটের উন্নত সংস্করণ বিষয়ে বিদ্যমান সরকারি নিয়মে আবার কন্ট্রাক্ট রিসার্চ সংগঠন এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন করতে বলেছেন। সেই নিয়মে পরীক্ষা করার জন্য আমরা বর্তমান সিআরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কে জানাব। বিএসএমএমইউ না করতে পারলে আমরা আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ, আইসিডিডিআরবি তে যাবো। এন্টিজেন বিষয়ে বর্তমানে কোন নীতিমালা নাই। আগামি জুলাই ০৮, ২০২০ খ্রীঃ, বুধবার নীতিমালা ফাইনাল হবার সম্ভাবনা আছে। ঔষধ প্রশাসন আমাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) এর ন্যায় একটা ফরমেট পাঠাবেন। ওটা অনুযায়ী প্রটোকল আপডেটকরে জমা দিতে বলেছেন। সার্বিক সহায়তার জন্য ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
তিনি আরও বলেন, গতকাল রোববারের বৈঠকে ঔষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক তাঁদের কথা ইতিবাচকভাবে শুনেছেন এবং সর্বাত্মকসহায়তা করতে চেয়েছেন। বৈঠকে আইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর এবং উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন বলে জানানো হয়।