২৬ জানুয়ারি,২০২০
গর্ভবতী নারী ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মায়ের পেটের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি, ২০২০ রোজ রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
চলতি সপ্তাহে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ বিষয়ে একটি নোটিশ পাঠান। যথাযথ জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।
নোটিশে তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক, ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষকে পেটের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমাদের দেশে এখনো বেশির ভাগ মানুষের কাছে ছেলে সন্তানই কাম্য। কারণ তারা মনে করেন, ছেলেরা বংশের ধারক, তারা বেশি শক্তিশালী ও আয় বেশি করে। এমনকি অনেক নারীও মনে করে ছেলে সন্তান তাদেরকে ভবিষ্যতে সুরক্ষা দেবে। এ অবস্থায় যদি পরীক্ষার মাধ্যমে পেটে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানা যায় এবং তা মা-বাবার কাঙ্ক্ষিত না হলে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। মা যদি হতাশায় ভোগেন তবে বাচ্চার ব্রেইনের বিকাশ ঠিকভাবে হয় না।
চীন-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেটে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেটের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ হওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থতা জানতে তারা যেকোনো পরীক্ষা করতেই পারেন। কিন্তু শুধু পেটে থাকা সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার উদ্দেশ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা বা ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক / ফাহমিদা হক মিতি