হাটহাজারী আধুনিক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে দুর্ব্যবহার এবং গায়ে হাত তুলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন হাসপাতালের এমডি এবং তার পুত্র ।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক হলেন ডা:সৈকত চন্দ্র পাল। গতকাল ৯ই অক্টোবার হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি এই অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হন এবং এই মুহূর্তে তিনি বেশ আতঙ্ক অবস্থায় আছেন বলে প্ল্যাটফর্ম প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
ডা:সৈকত চন্দ্র পাল এর ভাষ্যমতে, “গত ৯.১০.২০১৬ তারিখ হাটহাজারী আধুনিক হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ দস্তগীর মাহবুবুল আলম তার একটা রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়াতে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। আমি কর্তব্যরত চিকিৎসক হিসেবে শিশুটির রেফারেল কাগজ রেডি করি।হাটহাজারী আধুনিক হাসপাতালের এম.ডি বিষয়টি জানলে আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করে এবং আমাকে মারার জন্য চেয়ার থেকে উঠে আসে। উনাকে আমি বার বার বোঝাতে ব্যর্থ হয় যে একজম প্রফেসর রোগীকে রেফার করলে কর্তব্যরত ডাক্তারদের কিছু করার থাকে না।এক পর্যায়ে উনি বেয়াদবির সীমা ছাড়িয়ে গেলে,আমি আর ওই হাসপাতালে কাজ করবো না বলে চলে আসতে চাইলে এম.ডির ছেলে রুবায়েত আমার শার্টের কলার ধরে ফেলে এবং এম.ডি আর তার ছেলে মিলে আমাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে সাথে সাথে এটাও বলে হুমকি দেয় হাসপাতাল থেকে চলে গেলে আমাকে মেরে হাসপাতালে পুতে রাখবে। এরপর সারাটা রাত আমি ভয়ানক আতঙ্কের মধ্য কাটিয়েছি।
হাটহাজারীর মত জায়গায় এত বছরের পুরোনো নামকরা হাসপাতালে এই যদি হয় ডাক্তারদের প্রতি অসভ্য বর্বরোচিত ব্যবহার হয়, তাহলে আপনারাই বিচার করেন কেন যাবে ডাক্তাররা ওই হাসপাতালে?
আর কতদিন ডাক্তাররা এই লাঞ্ছনার শিকার হবে?”
শক্তি দেখাতে চাইলে তাই হোক। ডাঃ রাও শক্তি দেখাক।একজনকে বলা মানে মানে অন্য ডাঃ দেরও বলা। সাময়িক লাভের কথা বাদ, ডাঃ দের এই হাসপাতাল থাকলে চলবে, হাসপাতাল কিভাবে চলবে।এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখানে রোগী দেখা. অপারেশন, বোগী ভর্তি করা বন্ধ থাকুক