“প্ল্যাটফর্ম পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডক্টর্স ওয়েলফেয়ার প্রজেক্ট” এর অধীনে প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগমের প্রাথমিক অর্থায়নে শীঘ্রই চালু হবে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জন্য সর্বপ্রথম সুদবিহীন এডুকেশন লোন।
সুদবিহীন এডুকেশন লোনের নিয়মাবলিঃ
১) পোস্টগ্র্যাজুয়েশনে অধ্যায়নরত চিকিৎসকগণ এ লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এফসিপিএস, ডিপ্লোমা, নন রেসিডেন্সি কোর্সে শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত চিকিৎসকগণ অগ্রাধিকার পাবেন। পরবর্তীতে ফান্ড পাওয়া সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে এফসিপিএস বা ডিপ্লোমায় প্রথম পর্বে সুযোগ প্রাপ্ত চিকিৎসকগণ, রেসিডেন্সি কোর্সে সুযোগপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা, পোস্টগ্রাজুয়েশন এন্ট্রি পরীক্ষায় ফর্ম ফিলাপের জন্য চিকিৎসকগণ এবং চেম্বার স্থাপনের জন্য দন্ত চিকিৎসকেরা লোনের জন্য বিবেচিত হবেন।
২) লোন মঞ্জুরের পর ১ম বছর চার ভাগে মোট লোনের অর্থ নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হবে। লোনের প্রথম কিস্তির পরবর্তী কিস্তি পেতে প্রশিক্ষণ চলমান আছে তার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে ট্রেনিং সার্টিফিকেট এবং মধ্যবর্তী সময়কালে খরচের বাড়ি ভাড়ার রশিদ, বইপত্র কেনার ক্যাশ মেমো ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
৩) লোনের শেষ কিস্তি গ্রহণের দিন হতে পরবর্তী দেড় বছরের মধ্যে এককালীন অথবা ২ ভাগে মোট অর্থ একাউন্টের মাধ্যমে ফেরত দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোন পরিশোধে ব্যর্থ হলে যথাযথ কারণ জানিয়ে সর্বোচ্চ ছয় মাস সময় বৃদ্ধির আবেদন করা যাবে। অতিরিক্ত সময় অতিক্রান্ত হবার পরেও লোন সম্পূর্ণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত অর্থ জরিমানা করা হবে এবং কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার সংরক্ষণ করে।
৪) প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীর চাহিদা এবং লোনের মোট মূল্যমান হিসেবে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত নির্দিষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক লোনের জন্য বিবেচিত হবেন। লোন মঞ্জুরের পর ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা বা প্রতিশ্রুতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।
৫) লোনের আবেদন পত্রে আবেদনকারীর একই কোর্সে অধ্যয়নরত দুজন ব্যাচমেট অথবা একজন অধ্যাপকের সুপারিশ এবং বর্তমানে যেখানে প্রশিক্ষণরত সে প্রতিষ্ঠানের একই ইউনিটের কর্মরত একজন সহযোগী অধ্যাপক/অধ্যাপকের সুপারিশ থাকতে হবে।
৬) লোনের সম্পূর্ণ অর্থ উত্তোলন করা না হলে উত্তলিত লোনের সমপরিমাণ উত্তোলনের শেষ দিন থেকে ১ বছরের মাঝে ফেরত দিতে হবে।
৭) যে সকল কাগজপত্র আবেদন পত্রে যুক্ত করতে হবেঃ
এমবিবিএস সার্টিফিকেট
বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড
ট্রেনিংয়ের সর্বশেষ বছরের প্রমাণপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড
নিজের এবং পরিবারের বর্তমান আর্থিক সংগতির বিবরণী
ফর্মে একজন গ্যারান্টার (পরিবারের সদস্য অগ্রগণ্য) এর স্বাক্ষর ও তার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি
৮) যাদের জন্য লোন প্রযোজ্য হবে নাঃ
এক পরিবারের একাধিক সদস্য,
বিদেশে পড়াশোনার জন্য,
সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত চিকিৎসক।
৯) স্টাডি লোন প্রজেক্টে উদ্ভুত যে কোন পরিস্থিতি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। স্টাডিলোন সংক্রান্ত সকল ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যেকোনো শর্ত আরোপ, বিলোপ ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
১০) স্টাডি লোন প্রজেক্টে যে কেউ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডোনার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে লোনের শর্ত এবং অন্যান্য নিয়মসমূহ অপরিবর্তিত থাকবে। লোনের জন্য বিবেচিত চিকিৎসকগণ পরবর্তীতে লোন পেতে অন্য চিকিৎসককে সুপারিশ করতে পারবেন।
“প্ল্যাটফর্ম পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডক্টর্স ওয়েলফেয়ার প্রজেক্ট” এ সকলের সহযোগিতা কাম্য। আবেদন প্রক্রিয়া এবং আরো বিস্তারিত তথ্য শীঘ্রই জানানো হবে।
তথ্যসূত্র:
ডাঃ মোহিব নীরব
চমেক ২০০৫-০৬
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার:
সামিউন ফাতীহা
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই,জারা আমাদের কথা ভাবেন,ধন্যবাদ জানাই তাদের জারা এ ধরনের একটি প্রকল্পের চিন্তা ভাবনা করছেন।আশাকরি আপনারা এভাবেই ডাঃদের পশে থাকবেন।