চিকিৎসকদের ফি করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা

সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

চিকিৎসকদের ফি করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেই সাথে কর আদায়ে জেলা প্রশাসকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা যে ফি নেন সেটা রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যদি দক্ষ ও সেবক হন তাহলে জনগণ যে সেবাটা পান সেটা কার্যকর হয়।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসক-আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন। এর কারণে কিন্তু তাদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন তার রিসিট তো আপনারা নেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে কিন্তু এগুলো সব রেকর্ডেড।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ডিসিরাই উত্থাপন করেছেন গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে। আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে তো হবে না। এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান। সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি। মোট কথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ। কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ।

তিনি বলেন, আমাদের এমপ্লয়মেন্টটা বাড়াতে হবে। লোকাল লেভেলে এমপ্লয়মেন্ট বাড়ানো সহজ। চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ। চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না। যোগাযোগ না থাকলে ব্যালেন্স ডেভেলপমেন্টটা করা সম্ভব হবে না।

চিকিৎসকদের করের আওতায় আনতে কি উদ্যোগ নেওয়া হবে– জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের যেসব সহকারী বসে থাকে তারা টাকা নেয় কিন্তু রিসিট দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন। আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখি না তারা রিসিট দেয়।

প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস

প্ল্যাটফর্ম কনট্রিবিউটর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

রোগীদের চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় গাইডলাইন অনুসরণে কমবে চিকিৎসা ব্যয়

Mon Feb 17 , 2025
সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ রোগীদের চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চিকিৎসকদের গাইডলাইন অনুসরণের তাগিদ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে ‘প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার মূলনীতি : গবেষণা ও প্রয়োগের সেতুবন্ধন’ শীর্ষক সেন্ট্রাল সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo