বুধবার, ২০ মে, ২০২০
গত ২৭ এপ্রিল থেকে কোভিড রোগীদের জন্য প্লাজমা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিলাম। দিয়েছিলেন ডা. রাকিন। এরপর কতজন দিয়েছেন সেটা উল্লেখ করবোনা, হয়ত উল্লেখ করলে ভালো হত।
আজ সকালে একজন মহিলা চিকিৎসক আসলেন, গতকাল উনি যোগাযোগ করেছিলেন প্ল্যাটফর্মের সূত্রধরে। আজ আসলেন প্লাজমা দান করতে, ইচ্ছা ছিল যতটুকু পাওয়া যাবে তার থেকে তার একটি অংশ একজন চিকিৎসকের স্ত্রী ও মা(একই) কে দান করবেন। বাকিটুকু যার কাজে লাগে। প্লাজমা নেওয়া অবস্থায় জানা গেলো রোগীটি ইন্তেকাল করেছেন। প্লাজমা দেওয়া হলো এক মুমূর্ষু রোগীর জন্য ঢাকা মেডিকেলের।
এরপর আসলেন আরেকজন মহিলা চিকিৎসক একজন চিকিৎসকের স্বামীর জন্য প্লাজমা দিতে।শেষ বিকেলে আসলেন আরেক মহিলা চিকিৎসক, প্লাজমা দানের উপযুক্ত সময় হয়েছে তাই দান করতে আসলেন।
গত তিনদিন শুধু ফোন পাচ্ছি প্লাজমা লাগবে, প্লাজমা লাগেব। বিভিন্ন হাসপাতালের চাহিদা। চিকিৎসকদের পেজগুলোতে দেওয়া হচ্ছে সেই তালিকা, কোন গ্রুপের প্লাজমা।
এত চাহিদার পিছনে মিডিয়ার ভূমিকা রয়েছে। প্লাজমা নিয়ে আশা তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্লাজমার ডোনার তৈরিতে এখনও ভূমিকা দেখলাম না সেই সব প্রচার। সীমাবদ্ধ শুধুই ডক্টরস কমিউনিটির ভিতর।
প্লাজমা নিয়ে বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই, অনেক কিছুই প্রমাণের বাকি। তবে চিকিৎসক সমাজ যতটুকু সাড়া দিয়েছে প্লাজমা ব্যাংক সমৃদ্ধিতে, তা ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকবে।
তাই বলছি, চিকিৎসকদের রক্তের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।
ডা. আশরাফুল হক
সহকারী অধ্যাপক
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এবং প্লাস্টিক ইনস্টিটিউট