শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
চিকিৎসক (মেডিকেল অফিসার) ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা চলছে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ছাতকের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে দেখা যায় এমন চিত্র।
নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেটের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে ছাতক হাসপাতালে অভিযান চালায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
জানা গেছে, হাসপাতালে কোন মেডিকেল অফিসার পদায়িত নাই। হাসপাতালে পদায়িত থাকা দুইজন চিকিৎসককেই প্রশাসনিক নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা।
এছাড়াও অভিযানে চিকিৎসক সংকটের ফলে নার্স-ম্যাটস দিয়ে রোগী প্রেসক্রিপশন করা, অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘর, ঔষধ ও ভর্তি রেজিস্ট্রার ঠিকমতো সংরক্ষণ না করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ার কথা জানিয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে ছাতকের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত আরেফিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্ল্যাটফর্মকে জানান, “যারা আসছিলেন দুদক থেকে তাদের যে অভিযোগ ছিল – নার্স, এএসএনরা কেন রোগী দেখছেন। তারা আইএমসিআই কর্ণার, এনসিটি কর্ণারের জন্য এলোকেটেড। ওনারা এই বিষয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত। ওনারা ওখানে রোগীদের সেবা দিতে পারেন।
স্যাকমোদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ওনারা রোগী দেখতে পারেন কী-না! যেহেতু আমার ডাক্তার সংকট, আমার এখানে দুইজন ডাক্তার – মেডিকেল অফিসারের পোস্ট আছে কিন্তু একজনেরও পদায়ন নাই। আমাকে স্যাকমো এবং অন্য জায়গা থেকে এটাচমেন্টে ডাক্তার নিয়ে এসে হাসপাতাল চালাচ্ছি।
স্যাকমোরা রোগী দেখতে পারে এবং বিএমডিসি অনুযায়ী ওদেরকে কিছু ড্রাগ সিলেক্ট করে দেয়া আছে ওসব ড্রাগ ওনারা প্রেসক্রাইব করতে পারে। আরেকটা বিষয় বলা হল- স্টোরে ওষুধ থাকা স্বত্বেও ওষুধ আনা হচ্ছে, আসলে স্টোর খালি করে ত ওষুধ আনার কোন প্রসেস নাই। মাঝে যখন ওষুধ থাকবে না, ওই গ্যাপে জনগণ কী করবে?
আমি জনগণকে ওষুধ দিব কই থেকে! এজন্য ওষুধ মজুদ থাকা অবস্থাতেই নতুন ওষুধ আনতে হবে। রান্নাঘরের বিষয়ে যেটা বলা হয়েছে, রান্নাঘর অপরিষ্কার কী-না। আসলে রান্নাঘর অপরিষ্কার না, রান্নাঘর পুরানো। পুরানো ভবনের রিনোভেশনের কাজ চলছে। রিনোভেশন হয়ে গেলে দেখতে অপরিষ্কার লাগবে না।”
প্ল্যাটফর্ম/ এমইউএএস