রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
দেশে ১৭ হাজারের বেশি নারীর ফিস্টুলা আছে। তাদের ৮২ শতাংশই চিকিৎসার বাইরে। জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ফিস্টুলা ব্যবস্থাপনার জন্য রোগটির বিজ্ঞানসম্মত নিবন্ধন পদ্ধতি জরুরি হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অবস্টেট্রিক ফিস্টুলা সার্জনসের (আইএসওএফএস) নবম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের শেষ দিনে ফিস্টুলা বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা এসব কথা বলেন।
দুই দিনের এই সম্মেলন আয়োজনে সহায়তা করেছে অবস্টেট্রিক অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোলজিক্যাল সার্জনস, ইউএনএফপিএ, ইউএসএআইডি, আইসিডিডিআরবিসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। বাংলাদেশের প্রায় ৪০০ প্রতিনিধি ছাড়াও আফ্রিকা, এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের ৯১ জন ফিস্টুলা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক এই সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্মেলনের একটি অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় সরকার গঠিত স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য ও আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী আহমেদ এহসানূর রহমান বলেন, দেশে ফিস্টুলা আক্রান্ত নারীর অনুমিত সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৫৭ জন। তাঁদের মধ্যে গত বছর অস্ত্রোপচার হয়েছে ৩ হাজার ১০৯ জনের। এর অর্থ ৮২ শতাংশ নারী চিকিৎসার বাইরে আছেন।
প্রসবে জটিলতা, বিলম্বিত প্রসব বা কিছু অস্ত্রোপচারের কারণে নারীর যোনিপথ ও পায়ুপথের সংযোগ ঘটে। এর ফলে প্রস্রাব ধরে রাখা সম্ভব হয় না। নিয়মিত প্রস্রাব ঝরতে থাকে। প্রায় সব ক্ষেত্রে আক্রান্ত নারী শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন। প্রথমে স্বামী, পরে সন্তানসহ পরিবার এবং এক সময় সমাজ তাঁকে এড়িয়ে চলে। একা নারী দিশাহারা হয়ে পড়েন। একটি অধিবেশনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর বলেন, ‘ফিস্টুলা শুধু রোগ নয়, এটি একটি দুর্যোগ।’
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক।