ডা.আজাদ হাসান
সিওমেক – ব্যাচ ২১
চিকিৎসা বিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি বিশেষায়িত শাখা। তাই এই পেশার বিশেষ ভাবে সম্মান জানাতে এবং প্রটেক্ট করতে উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা পেশার লোকদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের “পেশাগত ঝুঁকি ভাতা”।
আজ এ ব্যাপারে আমার কিছু মতামত শেয়ার করছি।
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ক্যাটাগরীক্যালি “ঝুঁকি ভাতার” ব্যবস্থা থাকা উচিৎ।
১) Professional risk allowance: (পেশাগত ঝুঁকি ভাতার):
যেমনঃ
এক্স-রে টেকনিশিয়ান, ল্যাব টেকনিশিয়ান, ইপিআই টেকনিশিয়ান।
– এই এলাউন্সটি সারা বছর থাকা উচিৎ এবং উক্ত এলাউন্স সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বেসিক সেলারীর নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে মাসিক বেতনের সাথে পেমেন্ট করা উচিৎ।
২) ইনফেকশাস ডিজিজ রিস্ক এলাউন্সঃ
যারা টিবি প্যাসেন্ট, এইচআইভি এ জাতীয় রোগীদের চিকিৎসার সাথে জড়িত, তা ছাড়া ম্যালেরিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রামে মশার ঔষধ স্প্রে করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত তাদের জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ।
– এই এলাউন্স সারা বছর চালু থাকা উচিৎ এবং উক্ত এলাউন্স সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বেসিক সেলারীর নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে মাসিক বেতনের সাথে পেমেন্ট করা উচিৎ।
৩) প্যান্ডেমিক রিস্ক এলাউন্স।
এ ক্ষেত্রে যতদিন প্যানডেমিক পরিস্থিতি উন্নতি না হবে ততদিন চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে ক্যাটাগরিক্যালি উক্ত এলাউন্স দেয়া উচিৎ। তবে রিস্ক এর উপর নির্ভর করে ওনাদেরকে ৩টি গ্রুপে ভাগ করে বেতনের নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে রিস্ক এলাউন্স প্রদান করা উচিৎ।
যেমনঃ
★হাই-রিস্ক গ্রুপঃ যে সব চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মী আইসিইউ, এনেস্থিসিয়া ডিপার্টমেন্ট এবং ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে ডিউটি (কাজ) করেন তাদেরকে সবচেয়ে বেশী হারে (বেতনের উপর নির্ভর করে) পেনডেমিক রিস্ক এলাউন্স দেয়া উচিৎ।
★ মিডিয়াম রিস্ক গ্রুপঃ যারা ল্যাবে কিংবা ফিল্ড সাইডে স্যাম্পল কালেকশনের সাথে জড়িত তাদেরকে মধ্যম ক্যাটাগরির প্যান্ডেমিক রিস্ক এলাউন্স দেয়া উচিৎ।
★ লো-রিস্ক গ্রুপঃ আর যারা আউটডোর রোগীর স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত তাদের জন্য তৃতীয় ক্যাটাগরীর পেন্ডেমিক রিস্ক এলাউন্স থাকা উচিৎ। কারণ ওনারাও আন্-নোন বা আন্- আইডেন্টিফাইড কেস-এ এক্সপোজড্ হচ্ছেন। আউট ডোরে ডিউটি করেন বিধায় ওনারা রিস্ক ফ্রি এমনটা ভাববার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
– পেনডেমিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে তখন এই সুবিধা রদ করা যেতে পারে।
৪) তা ছাড়া বর্তমানে কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে আইসিইউ চিকিৎসা ব্যয় বহুল। তাই চিকিৎসকদের চিকিৎসার জন্য হেলথ ইন্সুইরেন্স চালু করা প্রয়োজন।
৫) মৃত্যুঝুঁকি এলাউন্সঃ সামরিক বাহিনীর মতো পেনডেমিক সময়ে উক্ত ডিজিজ-এ কারো মৃত্যু হলে সরকার ভুক্তভোগী চিকিৎসকের পরিবারকে সম্ভব স্বল্পতম সময়ে প্রতিশ্রুত অর্থ সাহায্য হিসেবে পাওয়ার ব্যবস্থা নিবে।