রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
“জরায়ু ক্যান্সার রোধে কার্যকরী এইচপিভি টিকা নিয়ে নানান রকম অপপ্রচার চলছে। এই অপপ্রচার রুখতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে”, বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
“এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪” উপলক্ষ্যে আজ (৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি কথা বলেন।
নূরজাহান বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, “এইচপিভি টিকা নিয়ে নানা অপপ্রচার হয়েছে। আমি মনে করি অপপ্রচার সবসময় থাকে। একসময় আমরা যখন ফ্যামিলি প্লানিং নিয়ে কাজ করেছি, ডায়রিয়া নিয়ে কাজ করেছি তখনও অপপ্রচার ছিল। জনগণ যদি সচেতন হয়, তাহলে সকল বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। এইচপিভি টিকা কার্যক্রমে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে পঁচিশ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। আশা করি সকলের সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ৯০ শতাংশ টিকা দেয়া সম্পূর্ণ করতে পারবো।”
একই সময়ে ডেঙ্গু বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ে আমরা দেশের প্রত্যেকটা হাসপাতালে, ক্লিনিকে বিশেষভাবে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রত্যেকটা হাসপাতালে ডেঙ্গু বিষয়ে ফোকাল কর্মকর্তা নিয়োগ এবং আলাদা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। আপনারা যদি তুলনা করে দেখেন গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেক কম। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যু আরো কমানো যায়। এটা শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না। ছাত্র, জনতা ও সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে আমরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।”
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এইচপিভি টিকা নিয়ে আতঙ্কে অসুস্থ হয়েছে ১১২ জন, টিকা না নিয়ে অসুস্থ হয়েছে ১১ জন কিশোরী। চিকিৎসকেরা একে ‘ম্যাস হিস্টেরিয়া’ আখ্যা দিয়ে এজন্য জনসচেতনতাকে দায়ী করেছেন। সম্প্রতি সরকার কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি (জরায়ুমুখ ক্যান্সার) এর টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর, একটি মহল এর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছে। এজন্যও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হতে পারে বলে মনে করছিলেন তাঁরা।
চট্টগ্রামে “এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪” এ সভাপতিত্ব করেছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। এ ক্যাম্পেইনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ডা. চিরঞ্জিত দাস, ইউনিসেফের চিফ এসবিসি সেকশন প্রতিনিধি মিস ব্রিজেত জব জনসন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্র মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক: মঈন উদ্দিন আহমদ শিবলী