প্ল্যাটফর্ম নিউজ, সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১
দেশে প্রতি বছর জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সারের শিকার হচ্ছেন ২৫ হাজার নারী। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই মৃত্যুবরণ করছেন এই দুটি ক্যান্সারে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও ১৯-২৫ জানুয়ারি জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার সচেতনতা, স্ক্রিনিং এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম। তিনি বলেন,
“জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাথে বাংলাদেশ একসাথে কাজ করে যাবে।”
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে প্রখ্যাত গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি-অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা বলেন,
“দেশে প্রতি বছর ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ নারীদের স্ক্রিনিং এর আওতায় আনা হচ্ছে। এ সংখ্যা ১২ লাখ পর্যন্ত করলে আক্রান্তের বাস্তব চিত্র জানা যাবে।”
ওবস্ট্রেটিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর ফোকাল পার্সন অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন বলেন,
“নারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন এবং জরায়ু-মুখের ক্যান্সারে। সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচার-প্রচারণামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা, স্ক্রিনিং কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করা, প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উপর জোর দিলে এ দুটি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা হিসেবে কাজ করবে।”
ওজিএসবির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী বলেন,
“জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার সেবার পরিধি, মান উন্নয়নসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে।”
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বলেন,
“জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার দুটি ভিন্ন বিষয়। তাছাড়া কিছু বিষয় ছাড়া জরায়ু মুখের চিকিৎসার ধরনও স্তন ক্যান্সার চিকিৎসা থেকে প্রায় আলাদা। এ জন্য দুটিকে আলাদা করেই সবার সমন্বয়ে নির্মূল করতে হবে।”
এছাড়া চিকিৎসকরা বলেন, জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে নারীদের মৃত্যুহার অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তাই ঘাতক এই রোগটির হাত থেকে নারীদের বাঁচাতে শুরুতে এ ক্যান্সার নির্ণয় করতে গণসচেতনতার আহ্বান তাদের। UNFPA এর আর্থিক সহযোগিতায় ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছিলেন BSMMU, FCDO, OGSB এবং Medicine Club।