মীর্জা মাহজারুল ইসলাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচ কে ৫ এর ছাত্র। আগে চারটি ব্যাচ কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে মাইগ্রেট করা। তিনি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল। ভাষা সৈনিক এই অধ্যাপক ছিলেন gastrojejunostomy with vagotomy এই সার্জারিতে উপমহাদেশে কিংবদন্তী। তাঁর আরেকটি পরিচয় তিনি ছিলেন একজন ফুটবলার। ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানে তারুবালা শিল্ডে স্যার এর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ দল ওয়ারীর মত তখনকার শক্তিশালী দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্রিকেট দল ঢাকা বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়।
ঢাকার ঘরোয়া ক্রিকেটে একসময় নিয়মিত ও জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ছিল দামাল সামার ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। পরে নাম বদলে যেটি হয়েছিল দামাল স্মৃতি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হারিয়েই গিয়েছিল টুর্নামেন্টটি। এই দামালকে জানেন? তিনি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র। খেলাপাগল দামাল ছিলেন ১৯৪৯-৫০ এর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রসংসদের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। পাকিস্তান এ দলে তিনি ছিলেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান। পরে ডাক্তারি পাস করে তিনি পাকিস্তান দলেরও নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য হন। তখন পাকিস্তানের প্রথম অধিনায়ক আবদুল হাফিজ কারদারের স্মৃতিতে কারদার সামার ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হতো পূর্ব পাকিস্তানে। স্বাধীনতার পর যখন সেটা শুধুই ‘সামার’ নাম নিয়ে শুরু হবে হবে করছে, তখনই হার্ট অ্যাটাকে মারা যান দামাল ভাই। টুর্নামেন্টের সঙ্গে তাই তাঁর নাম জুড়ে দিয়ে করা হয় ‘দামাল সামার ক্রিকেট’।
লেখকঃ রজত দাশগুপ্ত