৯ নভেম্বর, ২০১৯
দেশের প্রায় ১৬.৮ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে ভুগছেন।
এরমধ্যে ১৬.৮ শতাংশ পুরুষ এবং ১৭ শতাংশ নারী, যাদের মধ্যে ৯২.৩ শতাংশ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহন করেন না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট এর পক্ষ থেকে গত ৭ ই নভেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এ, ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯’ এর ফল প্রকাশ বিষয়ক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই জরিপ টি ২০১৯ সালের এপ্রিল-জুন মাসজুড়ে চালানো হয়, যা মূল লক্ষ্য ছিল দেশে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রেক্ষাপট সমন্ধে বিস্তারিত অনুসন্ধান চালানো।
জরিপে দেখা যায় যে, দেশের জনসংখ্যার ৬.৭ শতাংশের বিষণ্ণতা, ৪.৫ শতাংশের উদ্বেগ, ২.১ শতাংশের এ সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা, ০.৯ শতাংশের ঘুমের সমস্যা, ০.৭ শতাংশের ওসিডি, ০.৬ শতাংশের মস্তিষ্কের গঠনগত সমস্যা ইত্যাদি রয়েছে।
আরো জানানো হয় যে, শহরের(১৮.৭%) চেয়ে গ্রামীন এলাকার (১৬.২%) লোকদের মধ্যে মানসিক সমস্যা কম দেখা যায়।
জরিপে আরো দেখা গেছে, দেশে ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে। কিশোর-কিশোরীর ৯৫ শতাংশ এজন্য কোনো চিকিৎসা নেয় না।
এছাড়াও ধুমপানকারীদের মধ্যে এর ঝুকি প্রায় ৪১ শতাংশ।
চিকিৎসা নিতে যাওয়া ৫৬ শতাংশের মধ্যে, ৩৩ শতাংশ সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে এবং বাকি ২৩ শতাংশ আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথি ইত্যাদি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জরিপকারীরা জানান, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে রোগের চিকিৎসা ও রোগবিস্তার সমন্ধীয় গবেষনা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
তিনি বলেন, প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব ধরনের স্তরে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কাজের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া এবং এ সংক্রান্ত কুসংস্কার ও দূর করতে হবে।
এছাড়াও তিনি এমবিবিএস লেভেলে এ বিষয়ক আলাদা একটি কোর্স শুরু করা, এ বিষয়ে একটি পরিচালনা সংস্থা তৈরী করা ইত্যাদি আস্বাস ও দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট এর পরিচালক প্রফেসর ডঃ মোহিত কামাল।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর সেক্রেটারি মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর পরিচালক ডঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বিশ্ব ব্যাংকের রিপ্রেজেন্টেটিভ ডঃ বারড্যান জুং রানা প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার/লাইবা ইসাবেলা