বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্মত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশনস (জিডিএইচএস) এবং তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (টিকা) যৌথভাবে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকাল ১০টায় টঙ্গীর তনিমা মেডিসিন হাউসে টিকার সহায়তায় প্রথম ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়।

এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত বর্তমানে নানান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বর্তমানে প্রতি ৬ হাজার ৫৭৯ জন রোগীর জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক এবং ২৩ হাজার রোগীর জন্য একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। দেশের ৬১ শতাংশ জনগোষ্ঠী গ্রামে বসবাস করলেও, মাত্র ২৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত। পাশাপাশি, অসংক্রামক রোগে (এনসিডিএস) মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট মৃত্যু হার ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়ও ক্রমাগত বাড়ছে। ২০০০ সালে যেখানে পরিবারের মাত্র ১৫ শতাংশ আয়ের ১০ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করত, ২০১৬ সালে তা বেড়ে ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এই সংকট মোকাবিলায় জিডিএইচএস অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্ম ‘সুখী’ চালু করা হয়েছে। “স্বাস্থ্যসেবার সব সমাধান” স্লোগানকে সামনে রেখে সুখী সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ চালু করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে রোগীরা পাবেন ২০ টাকায় ইনস্ট্যান্ট ডাক্তার পরামর্শ, বিশিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ সেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা, ডায়াগনস্টিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ, নিকটস্থ সার্জারি রেফারেল এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ ও সহায়তা।
প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ফার্মেসির সঙ্গে সুখী সেবা কেন্দ্রের অংশীদারত্ব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে ৫০ হাজার ফার্মেসিতে সম্প্রসারণ করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি টঙ্গীতে প্রথম ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশনসের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. আহমেদ আরমান সিদ্দিকী, প্রধান টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মোহাম্মদ সোলায়মান রাসেল, পার্টনারশিপ লিড, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ডা. ফাহরীন হান্নান।
তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির (টিকা) পক্ষ থেকে পরিচালক সেভকি মারথ বারিস, মুহাম্মদ আলী আর্মগান, সহকারী সমন্বয়ক এবং পরিচালকের সহকারী মনজুর এলাহী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।