ডেন্টিস্ট হবার স্বপ্ন নিয়ে মেয়েটা ভর্তি হয়েছিল ঢাকা ডেন্টাল কলেজে। জেরিন তাসনিম জয়া, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের ডি-৫১ ব্যাচের ছাত্রী। আজ তার কোন পড়াশুনা, পরীক্ষা নেই, শুয়ে আছে একটা ঠান্ডা ঘরে যেখানে বাইরের একজন মানুষও প্রবেশ নিষেধ। জয়া লিউকেমিয়ায় (AML-M2) আক্রান্ত, কেমোথেরাপী চলছে ঢাকা মেডিকেলের হেমাটোলজি বিভাগে। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টসহ বাকি চিকিৎসার জন্য তার খরচ হবে নূন্যতম ৪০ লক্ষ টাকা। একজনের জন্য অংকটা অনেক বড় কিন্তু ষোল কোটি মানুষের জন্য? না ষোল কোটির প্রয়োজন নেই, অন্তত এই পোস্টটি যারা দেখছেন তারাও যদি নিজেদের সর্বোচ্চটা দান করেন তাহলে কিন্তু একটা মেয়ের জীবন বেচে যায়।
প্ল্যাটফর্ম শুরু হয়েছিল চিকিৎসক, মেডিকেল ও ডেন্টাল স্টুডেন্টদের কন্ঠস্বর হিসেবে, তার ধারাবাহিকতায় প্ল্যাটফর্ম ম্যাগাজিনের ২টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। ৩য় সঙ্খ্যার জন্য আমাদের কোন স্পন্সর নেই, চিন্তা ছিল ২য় সংখ্যার বিক্রয়মূল্য হতে ৩য় সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। আমরা আজ জয়ার বাবার হাতে এ পর্যন্ত ২য় সংখ্যা বিক্রির পুরো টাকা তুলে দিয়েছি, এবং বাকি কপি বিক্রির টাকা থেকেও ডোনেট করা হবে বিক্রি শেষ হওয়া মাত্রই। না হয় অনেক দেরিই হল ৩য় সংখ্যার প্রকাশ, একজন বাবার হাতে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সামান্য অংকের টাকাটা তুলে দেবার পর বাবার চোখে যে আনন্দ ও কৃতজ্ঞতার অশ্রু দেখেছি তার কাছে এই অপেক্ষা কিছুই না। অংকটা খুবই সামান্য তবু আমাদের চেষ্টাটা সামান্য নয়। এটা দেখে যদি বাকিরা এগিয়ে আসে, প্রত্যেকে অল্প কিছু করে ডোনেট করে তাহলেই টাকাটা জোগাড় হয়ে যায়। জয়াকে ১মাসের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। হাতে সময় খুব কম। পত্রিকার মূল্য ৫০টাকা খুব বেশি কিছু নয় তা যদি একটা মেয়ের জীবন বাচানোর জন্য কাজে লাগে। দেশের প্রায় সব মেডিকেল কলেজে আমাদের প্রতিনিধির কাছে প্ল্যাটফর্ম পত্রিকা পাওয়া যাচ্ছে, সেই সাথে আজিজ মার্কেটের হক ফটোস্ট্যাট, নীলক্ষেতের আলতাফ লাইব্রেরি, উত্তরায় ম্যাট্রিক্স বুক কর্নার, গ্রীন রোড সিমুড অফিসেও পাওয়া যাচ্ছে। যারা আলাদাভাবে ডোনেট করতে চান তাদের জন্য জয়ার বাবার একাউন্ট ডিটেইলসঃ বিকাশ০১৯৬৭১১৭৫১৫
জয়ার বাবা’র একাউন্ট নং Kazi Zahangir
Ahmed, shantinogor branch
Account no.108-101-39892 (ডাচ
বাংলা ব্যান্ক লিমিটেড)।