প্ল্যাটফর্ম নিউজ,
রবিবার, ৩ মে, ২০২০
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার আদর্শে পরিচালিত টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে করোনার এই ক্রান্তিকালে কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় কমিউনিটি পর্যায়ে ‘বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান’ শুরু হয়েছে ।
গতকাল শনিবার (২ মে) থেকে কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় টেলিমেডিসিন কার্যক্রমের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এই স্বাস্থ্যসেবা। এতে কুমুদিনী হাসপাতালের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ সদস্যের একটি দল মাঠপর্যায়ে থাকছেন। তাঁদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে অনলাইনে যুক্ত হচ্ছেন ৬ জনের একটি চিকিৎসক দল।
গত শুক্রবার (১ মে) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল হালিম বলেন,
“হাসপাতালটিতে আগে ৭৫০ শয্যা থাকলেও বর্তমানে ১ হাজার ৫০ শয্যা আছে। করোনা পরিস্থিতির আগে এখানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার রোগী বহির্বিভাগে আর অন্তর্বিভাগে প্রায় ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিতেন। তাঁরা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পেতেন। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা বিনা মূল্যে থাকা ও খাওয়ার সুযোগ পান। রোগীদের অধিকাংশই দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের ফলে সাধারণ রোগীরা সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালে আসতে ভয় পাচ্ছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে অনেক রোগী হাসপাতালে আসতে পারছেন না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেবে কুমুদিনী হাসপাতাল।”
হাসপাতালটির আইটি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন,
“টেলিমেডিসিন কার্যক্রমের জন্য ক্যাম্পেইন স্থলে ল্যাপটপে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঝে মধ্যে ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। এ জন্য সেবা কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হয়।”
কুমুদিনী হাসপাতালের প্রকল্প কর্মকর্তা আবদুল হাই ও জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা শুভ দাসের ভাষ্যমতে,
“করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা প্রতিদিন একটি এলাকায় কমপক্ষে ৫০ জন রোগীকে সেবা দেবেন। প্রয়োজনে একই স্থানে দুই দিন ক্যাম্পেইন করা হবে।”
কুমুদিনী হাসপাতাল প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতরা এখান থেকে সহজেই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়