গত ২২শে মে,২০১৫ ইং শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্মান্তরিত হওয়া এক মহিলা চিকিৎসা নিতে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নার্স ইঞ্জেকশন দিলে কিছুক্ষণ পর রোগী মারা যায়। স্থানীয় কিছু জনগণ গুজব রটায় হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়ায় হিন্দু নার্স রোগীকে মেরে ফেলেছে। তার কিছুক্ষণ পর গৌহরডাঙা মাদ্রাসার ছাত্র ও স্থানীয় কিছু জনগণ হাসপাতালে এসে ভাংচুর শুরু করে। তারা ইউএইচএফপিও স্যার কে বলে, “তুই এক হাত দিয়ে ঔষুধ দিছিস, তোর মাথা থেকে এই চিকিৎসা বের হয়েছে”। বলতে বলতে হাত পা চারটিই ভেঙে দেয়, মাথায় কোপ দেয়। পরে তারা ভেবেছিল স্যার মারা গেছে তাই ভাঙা আলমারি, চেয়ার টেবিল দিয়ে স্যারের বডি চাপা দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং স্যারকে মৃত ভেবে বডি পাহারা দেয়। পরে এক নার্স জোর করে ঐরুমে ঢুকে স্যারের পালস দেখে স্যারকে এম্বুলেন্সে করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। যে নার্স ইঞ্জেকশন দিয়েছিল তার মাথায় বারি দেয় এবং পায়ে কোপ দেয়, উনি এখন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং স্যারকে ঐদিন পঙু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐ রোগীর কয়েকদিনের মধ্যে হারপিক পয়জনিং, সিডেটিভ পয়জনিং ছিল, শেষের দিকে এসে রেনাল ফেইলুর হল। রোগীর লোকজন রোগীকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল এরপর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। পরে রোগীর অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় বাড়িতে (টুঙ্গিপাড়া) নিয়ে গিয়েছিল, ওখানে অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছিল…. তারপরেই এই অবস্থা।
সংবাদ দাতা: রুবেল দাস, সরকার আনিস
পরিমার্জনা: বনফুল