ডাঃ আসমা আফরোজ মান্না দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে অংশ নেয় ২৪ তম বিসিএসে। পোস্টিং হয় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে বদলি। এর মধ্যে গাইনিতে এফসিপিএস পাস করেন তিনি।
স্কুল থেকেই লেখাপড়ায় ছিলেন ক্লাসের শীর্ষে। চমক লাগানো রেজাল্ট ছিল এসএসসি এবং এইচএসসি তে। শিক্ষাজীবনের মতোই ঝকঝকে ছিল তাঁর ব্যক্তিজীবনও। সহপাঠী ডা. রাজিব সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় ২০০৩ সালে। সে সময় দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি রাজিব। পেশাজীবন শুরু করার পর সদস্য হন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ)। আছমা-রাজিব দম্পতির কোল আলো করে মেয়ে রোকসানা আসে বিয়ের তিন বছর পর। এর মধ্যেই ২৭তম বিসিএস দিয়ে রাজিবও যোগ দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে।
২০১৩ সালে তাঁর স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। একটি স্তন কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। দুবির্ষহ কেমোথেরাপি চলছে।
এরই মধ্যে একেবারে আকস্মিকভাবে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ব্রেইন হেমারেজে মারা যান রাজিব। রুপকথার গল্পের মত সুখী একটি সংসারে নেমে আসে নিকষ অন্ধকার। একমাত্র মেয়ে রোকসানা মা এবং বাবার মতই মেধাবী। আশ্রয় সম্বল সরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেরা স্কুল থেকে সরিয়ে ঢাকায় মায়ের বাড়ির পাশে শুক্রবাদ সরকারি স্কুলে ভর্তি করেন মেয়েকে। ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে এই অসাধারণ মেধামী মানুষটির লড়াইয়ের শক্তি।
তার চেয়েও দ্রুত ফুরাচ্ছে আর্থিক সংগতি। চাকরিতে ওএসডি, সংযুক্তি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঋণ বাবদ টাকা কাটার পর সাকুল্যে বেতন পাচ্ছেন ১৭ হাজার ৪০০ টাকা। চিকিৎসায় এরই মধ্যে ২৫ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়ে গেছে। এখন চিকিৎসা চলছে ল্যাবএইড হাসপাতালে ডা. মোফাজ্জল হোসেনের তত্ত্বাবধানে। ১৭টি কেমো দেওয়ার কথা। দেওয়া হয়েছে চারটি। ২১ দিন পর পর কেমো দিতে হবে। প্রতিবারের খরচ দুই লাখ টাকা। পাশাপাশি ওষুধপথ্য-সেবা তো রয়েছেই। লড়াকু এই নারী এখন বড় অসহায়।
আমাদের অল্প কিছু সহায়তা, সহানুভূতি হয়তো আসমাকে আবার ফেরাতে পারে জীবনের আলোয়। দূর করতে পারে ছোট্ট মেয়ে রোকসানার অনিশ্চয়তা।
আসমার ব্যাংক হিসাব নম্বর : ০২০০০০২৩৭৩৮৪৭, সুইফট কোড এজিবিকেবিডিডিএইচ০৩৬, অগ্রণী ব্যাংক, গ্রিনরোড শাখা, ঢাকা।
Allah pls help them….