প্ল্যাটফর্ম নিউজঃ বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০
আজ বৃহষ্পতিবার (১৮ জুন) সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের “মিড লেভেল ডক্টরস এসোসিয়েশন” এর ব্যানারে খুলনায় রোগীর স্বজনদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া বাগেরহাট ম্যাটস এর অধ্যক্ষ ডা. মো. রাকিব খানের খুনীদের অতি সত্ত্বর বিচারের আওতাভুক্ত করার দাবিতে দুপুর ১২ টায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. অরূপ রাউতের সঞ্চালনায় সভার সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. সুব্রত রায়। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্ধ-শতাধিকের বেশি মিড লেভেলের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে একে একে বক্তব্য রাখেন ডা. ইলহামুর চৌধুরি, ডা. সোহেল হাসান, ডা. হাসনাত মুন, সহ সভাপতি ডা. সত্যব্রত ঘোষ, সহ সভাপতি ডা. আদনান চৌধুরি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. কায়সার খোকন, সহ- সভাপতি ডা. এনামুল হক, ডা. দেবরাজ রুবেল ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ডা. এম নুরুল ইসলাম। প্রতিবাদ সভায় সিলেট বি.এম.এ. ও স্বাচিপ নেতা কার্ডিওলজির সহকারি অধ্যাপক ডা. আজিজুর রহমান রোমান দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা মেডিসিন বিভাহের সহকারি অধ্যাপক ডা. রুহুল কবির, ই এনটি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. কৃষকান্ত ভৌমিক, সার্জারির আবাসিক সার্জন ডা. রাশেদ আশরাফ, ইউরোলজির ডা. সুব্রত দেব, অর্থোপেডিক্স এর ডা. বিপুল ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত থাকেন ডা. আশরাফুল ইসলাম রানা, ডা. অনুজ, ডা. ফরহাদ, ডা. মিম, ডা. সাইফুল, ডা. মানিক, ডা. অনিক, ডা. ফুজায়েল, ডা. রিচার্ড, ডা. পলাশ, ডা. রানা, ডা. নাশাদ, ডা. আনোয়ার, ডা. রাব্বি, ডা. মুসা, ডা. বিদূর, ডা. বিদ্রুম, ডা. কনক, ডা. ইকবাল, ডা. বুদ্ধ, ডা. হৃদয়, ডা. এহসান প্রমুখসহ আরো অনেকে।
বক্তারা তাঁদের বক্তৃতায় এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহনের তাগিদ দেন। এছাড়াও এসময় তাঁরা কেন্দ্রীয় বি.এম.এ. কে ধন্যবাদ দেন উপর মহলে চাপ প্রয়োগ করায়। তবে ৫ জন আসামি গ্রেফতারেই কাজ শেষ না, বরং কাজের শুরু- উল্লেখ করে ন্যায্য দাবি আদায়ে বাংলাদেশের সকল ডাক্তারদের আরো বেশি সক্রিয় হবার দাবি জানানো হয়। যেকোন ন্যায্য দাবিতে সিলেটের সকল চিকিৎসক একজোট হয়ে আন্দোলন করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
পাশাপাশি প্রতিদিন এত চিকিৎসক করোনায় মারা যাচ্ছেন, কিন্তু তারপরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাঁদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।
মৃত্যু অনিবার্য- তবে সকল মৃত্যুই কষ্টদায়ক। প্রতিটি মৃত্যুকেই চিকিৎসক সমাজ সম্মান করেন। যার পরিবারের কেউ মারা যান, তিনিই জানেন উনি কি হারিয়েছেন। ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কেউ ইচ্ছা করে কোন রোগীর অবস্থা খারাপ হোক, সেরকম কিছু করেন না। কিন্তু মাঝে মাঝেই এমন ভীতিকর ঘটনার জন্ম দেয় রোগীর আত্মীয় সেজে আসা কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষজন। এদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া উচিত। এদের কারণে ডাক্তার-রোগীর যে সুন্দর সম্পর্ক, সেটা নষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করেন বক্তারা।
সমাপনী বক্তব্যে ডা. সুব্রত রায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ প্রকাশে আরও সতর্ক হয়ে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান। পরিশেষে, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি ও সেটি কার্যকর না হলে কর্মবিরতি সহ আরো কঠিন কর্মসূচি দিতে চিকিৎসক নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন সভায় উপস্থিত ডাক্তাররা।