প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৭ নভেম্বর, শনিবার, ২০২০
একজন ডায়াবেটিস রোগীর সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের অন্যতম চাবিকাঠি হলো নিয়মানুবর্তিতা। একজন ডায়াবেটিস রোগীকে তার প্রতিদিনের খাবার, ঔষুধ ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হয়। এই সতর্কতাই তাকে অন্য অনেকের চেয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তবে নিয়ন্ত্রণের জন্যে যে খাবারই গ্রহণ করুক না কেন রোগীর পুষ্টি চাহিদা অন্য সকলের মতোই। তাই ডায়াবেটিস রোগীর সংকীর্ণ খাদ্য তালিকা নয়, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য তালিকা দরকার।
একজন ডায়াবেটিস রোগী সকালের নাস্তা সকাল ৭টা থেকে ৮ টার মধ্যেই শেষ করাই উত্তম বলে মনে করেন চিকিৎসকগণ। সকালের নাস্তায় রোগী রুটি/চিড়া/ওটস সাথে নিরামিষ সবজি ও একটি ডিম খেতে পারে।
মধ্য সকালে একটি ফল আর ফল বেশি মিষ্টি জাতীয় হলে হাফ কাপ পরিমাণে গ্রহণ করাই শ্রেয়।
দুপুরে খাদ্য তালিকায় এক কাপ পরিমাণে ভাত, এক টুকরো মাছ/মুরগি, সবজি, লেবু, সালাদ ইত্যাদি খেতে পারে। তবে দুপুরের খাবার বেলা ১টা থেকে ২ টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
বিকালে চিনি ছাড়া বিস্কুট, রং চা, মুড়ি, ছোলা বুট ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারে।
রাতের খাবারে ভাতের পরিবর্তে রুটি/ওটস রাখা উত্তম। এর পাশাপাশি এক বাটি সবজি, লেবু, সালাদ রাখতে পারে। খাবার গ্রহণের সময় রাত ৮:৩০-৯:০০টা হওয়া বাঞ্ছনীয়।
শোবার এক ঘন্টা আগে এক কাপ পরিমাণে দুধ খাওয়া যেতে পারে।
সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চা করতে হবে। যেমন- হাঁটা, সাঁতার কাটা, ব্যায়াম করা, সাইকেল চালানো, খেলাধুলা করা ইত্যাদি। তবে রোগীর ওজন ও রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রার ওপর নির্ভর করে শরীরচর্চার তারতম্য ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চর্চা করতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা নিয়ে আমাদের সমাজে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে যেমন ” সব ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে, গরুর মাংস খাওয়া যাবে না”। এ ধারণাটি সঠিক নয়, সব ধরনের খাবার-ই গ্রহণ করা যাবে তবে পরিমিত পরিমাণে ও বুঝে শুনে।
তবে বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন: ডিম, অল্প চর্বি জাতীয় দুধ, টক দই ইত্যাদি, উচ্চ আশঁযুক্ত খাবার, বাদাম ইত্যাদি গ্রহণ করা উত্তম।
এছাড়াও, প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি খাবার খাওয়া এবং অধিক প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার বর্জন করা ডায়াবেটিস সুরক্ষা বান্ধব।
নিজস্ব প্রতিবেদক
নুরুন্নাহার মিতু