ঢাকা মেডিকেলের ডাঃমীমকে নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের ব্যক্তিগত আক্রোশজনিত সংবাদ পরিবেশনের নিন্দা জানালেন বিএমএর নেতৃবৃন্দ।
বিএমএর সভাপতি ইকবাল আর্সনাল ডা: মীমের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশের নিন্দা জানিয়ে যমুনা গ্রুপের সকল পন্য বর্জনের আহবান জানান।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া বার্তায় খুলনা বিএমএর সভাপতি বাহারুল আলম লেখেনঃ
“ডাঃ মিম, দুঃখ পাবে না জানি । বর্তমান বাংলাদেশে তোমার বরখাস্ত হওয়ার প্রসঙ্গ বাস্তব। স্বাস্থ্যব্যবস্থা তো বটেই রাষ্ট্রব্যবস্থাই ধনী দুর্বৃত্তায়িতদের কবলে- এটা নিশ্চয়ই তোমার জানা আছে। সেই দুর্বৃত্তায়িত শক্তিধর গোষ্ঠী ন্যায় অন্যায়ের তোয়াক্কা না করে রাষ্ট্রকে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে। তোমাকে বরখাস্ত করার প্রসঙ্গটা সেই পথ ধরেই এগুবে এটাই স্বাভাবিক।
তুমি চিকিৎসক সমাজের পক্ষে তোমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছ। এখন দায়-দায়িত্ব চিকিৎসক সমাজ, সংগঠন, নেতৃত্ব সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতি ও তার সরকারের। যাকে সমর্থন করে চিকিৎসকগণ অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ,আজকের দিন পর্যন্ত ভালবেসে আসছেন, রাজপথে সংগ্রাম করেছেন, স্বৈরাচার বিতাড়নে ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন জীবন দিয়েছেন।
এমনিতেই রাষ্ট্রের অবস্থানগত দিক থেকে চিকিৎসকগণ ক্রীতদাস । তোমার ঘটনায় আমরা কি ক্রীতদাসের হাসি দেখব? নাকি কঠোর কঠিন প্রতিবাদকে আত্মস্থ করা রুদ্রমূর্তি দেখব?
আত্মপরিচয়,আত্মমর্যাদায় যেই আচরণকে তুমি রুখে দিয়েছ তার কাছে তোমার আর অনুকম্পা বা সহানুভূতি চাওয়ার নেই। বরখাস্ত হলে যা হারাবে অর্জন করেছ তারও বেশী। তুমি চিকিৎসক, মাথা নোয়াবে না কখনও। সকল প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদায় বলীয়ান হয়ে টিকে থাকবে। সামনে কঠিন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জ্যেষ্ঠ, বন্ধু, ছোটরা কি করে সেটা অবলোকন করো। শেষ যুদ্ধটা হবে ‘আমুল পরিবর্তনের’।আর যেন কোন চিকিৎসককে কর্তব্যরত অবস্থায় হেনস্থা না হতে হয় ।
যেটুকু তুমি হারাবে মর্যাদার প্রশ্নে সেটুকু স্বেচ্ছায় ত্যাগ করার অসংখ্য উদাহরণ আছে তোমার চিকিৎসক পূর্ব পুরুষদের। তুমি একজন চিকিৎসক – তোমার এই পরিচয় কেড়ে নিতে পারবে না কেউ।
রুখে দাও ধনী দুর্বৃত্তদের
ভেঙ্গে দাও ওদের বিষদাঁত
মুক্ত করো বাংলাদেশ”
উল্লেখ্য ডাঃমীমকে নিয়ে ছাপানো এ সংবাদের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গতকাল কর্মক্ষেত্র থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।