প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৩ জুন ২০২০, মঙ্গলবার
বাগেরহাট ম্যাটসের সাবেক অধ্যক্ষ বিএমএ এর আজীবন সদস্য ডা. মো. আব্দুর রাকিব খানের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে শাস্তির দাবিতে সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রবিবার (২১ জুন) দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জ বিএমএ, সদর হাসপাতালে কালো ব্যাজ ধারণপূর্বক ২ মিনিট নীরবতা পালন ও ডা. আব্দুর রাকিব খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিএমএ এর সভাপতি ডা. মো. আব্দুল হাকিম, সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস্ উদ্দিন, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল মোমেন, বিএমএ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈকত দাস, দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসীম উদ্দিন শরীফি, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার, ডা. বিজ্ঞু প্রসাদ চন্দ, ডা. শ্যামল চন্দ্র বর্মন, ডা. এনামুল হক, ডা. সজীব কবির ভূইয়া, ডা. জাহিদ হাসান, ডা. কামরুল হাসান, ডা. অনুপ তালুকদার, ডা. রবীন্দ্র তালুকদার, ডা.প্রশান্ত তালুকদার, ডা. শুভ্র দেবনাথ ডা. টি এম ইমরান।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ডা. মো. আব্দুর রাকিব খানের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন খুলনা শহরের বাসিন্দা শিউলী বেগমকে সিজারের জন্য স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেদিনই বিকেল ৫টায় অপারেশন সম্পন্ন হয়। প্রাথমিক অবস্থায় বাচ্চা ও মা উভয়েই সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরাও রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকায় নেয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।
ক্লিনিকের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ১৫ জুন রাতেই এ ঘটনায় রোগীর স্বজন কুদ্দুস, আরিফ, সবুরসহ কয়েকজন নারী ক্লিনিকের পরিচালক ডা. রাকিবকে লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তাঁর মাথার পেছনে জখম হয়। প্রথমে তাকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ জুন তাঁর মৃত্যু হয়।