২২ জুন ২০২০, সোমবার
ডা. শুভ্র সাহা
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ- ৪৬ ব্যাচ
আশির দশকের শেষ আর নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকের কথা। খুলনা শহরে এক ভদ্র মহিলার প্রসব বেদনা ওঠে মাঝরাতে। তার স্বামী ঐ রাতে আশপাশের সব ক্লিনিক ঘুরেও কোন চিকিৎসক, নার্স কিংবা আয়া কে বাসায় আনতে রাজি করাতে পারেননি। শেষে রোগা পটকা এক চিকিৎসক এসেছিলেন সাথে একজন নার্স আর একজন ওয়ার্ড বয়কে নিয়ে। এসে দেখেন ততক্ষণে সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে গেছে। প্রসব পরবর্তী কাজকর্ম সেরে এক পয়সাও না নিয়ে ভদ্রলোক চলে গেলেন।
সেই সন্তানটি আমি। আর ঐ রোগা পটকা চিকিৎসক হলেন সদ্য প্রয়াত ডা. আব্দুর রাকিব খান স্যার। আমার বাবা গতদিন খুব কষ্ট নিয়ে কথা গুলো বলছিলেন। এমন একটা মানুষের এভাবে চলে যাওয়াটা বড়ই অন্যায়।
স্যার, আপনি সার্থক মানব সেবক হিসেবে!
আপনি সার্থক চিকিৎসক হিসেবে!
সর্বোপরি, সার্থক মানুষ হিসেবে!
আপনার একমুহূর্তের উপস্থিতি আমার পরিবার, আমার বাবা এবং আমি আমৃত্যু স্মরণ করবো।