প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৭জুন, ২০২০, বৃহস্পতিবার
খুলনায় রোগীর স্বজনদের নির্মম হামলায় চিকিৎসক আব্দুর রাকিব খানের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বর্বরোচিত হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছে- প্রধান আসামি জমির, এজাহারভুক্ত আবুল আলী ও মো: রহিম এবং সন্দেহভাজন খাদিজা ও গোলাম মোস্তফা।
বুধবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে আসামিদের গাজীপুরের টঙ্গী ও খুলনার রূপসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরআগে, মঙ্গলবার রাতে রহিমকে আটক করা হয়। এ নিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে তিন জন গ্রেফতার হলো।
জানা যায়, গ্রেফতার জমির মৃত রোগী শিউলী বেগমের ভাই। আর আবুল আলী শিউলির স্বামী, খাদিজা শিউলির ভাবী ও গোলাম মোস্তফা শিউলির চাচা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির এসব তথ্য জানান।
নিহত ডা. রাকিব
বুধবার দুপুরে নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ দিকে বুধবার দুপুরে বিএমএ’র এক জরুরি সভায় ডা. রাকিব খানের ওপর হামলায় জড়িত সব সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও খুলনা সদর থানার ওসি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত খুলনা জেলার সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে কোভিড-১৯ হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকবে।
উল্লেখ্য, রবিবার (১৪ই জুন) রাতে নগরীর গল্লামারীর রাইসা ক্লিনিকে সিজার হয় নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমের। প্রথম অবস্থায় সুস্থ হলেও পরে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গতকাল ১৭ই জুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় গতকাল রাত ৯টায় রোগীর স্বজনরা রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. আব্দুর রাকিব খানকে কৌশলে ডেকে ক্লিনিকের সামনে এনে হামলা চালায় এবং প্রচণ্ড মারধর করে। এতে ডা. রাকিবের মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. রাকিবের মৃত্যু হয়।