সবাই লোটে ভাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন।
আমারও করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
লোটে ভাই শুধু একাই নন। বাংলাদেশে এমবিবিএস পড়তে আসা অন্যান্য ভুটানিজ ছাত্রদের মতো তিনিও ভালো বাংলা বুঝতে পারতেন এবং মোটামুটি বলতে পারতেন।
একদিন ছাত্রাবস্থায় আমি আমার সিনিয়র ডা. লোটে শেরিং (ম-২৮) ভাইকে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম : লোটে ভাই, ভুটান দেশটি আমার ভীষণ ভালো লাগে। প্রকৃতির লীলাভূমিতে অসংখ্য পাহাড় পর্বত আর লোক সংখ্যা নেহায়েতই কম। কোন অস্থিরতার কথা শুনতে পাওয়া যায় না। কেমন যেন শান্তি শান্তি লাগে। তাই, ভুটানে যেতে চাই।
লোটে ভাই গালে টোল ফেলে মিষ্টি হাসিতে বলেছিলেন : ঠিক আছে বিজয় (আমার ডাক নাম), তুমি অবশ্যই ভুটানে যাবে। প্রয়োজনে সেখানে গিয়ে প্র্যাকটিস ও জবও তুমি করতে পারবে। আমি সুযোগ পেলে তোমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। পূর্বশর্ত হলো তোমার এমবিবিএস কমপ্লিটের পর পোস্ট গ্রাজুয়েটও শেষ করতে হবে।
লোটে ভাই, এখন আমার ভুটান যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমি ভুটান যেতে চাই। এখানে পান থেকে চুন খসলেই কশাই হয়ে যেতে হয়। কথায় কথায় মার খেতে হয়।
আমি এতো গুলো বছর কষ্ট করে পড়ালেখা করেছি মানবসেবা করার জন্য। সন্মান, ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।
ডা. মানিক মজুমদার
ম-৩১
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।