১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
বাংলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক সাহিত্য রচনার অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অসংখ্য বিদেশী শব্দের বাংলা পরিভাষা করণ তাঁর অন্যতম প্রধান অবদান। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকেই রেডিও, দৈনিক পত্রিকা এবং সাপ্তাহিকে গণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে একটানা কলাম লিখে গেছেন তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা, গবেষণা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন হিসেবে সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে ‘ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস’ বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ডা. শুভাগত চৌধুরী লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে ‘প্রাণরসায়ন, পুষ্টি ও চিকিৎসা-শিক্ষাপদ্ধতি’ নিয়ে গবেষণা করেছেন। নিউ ইয়র্ক সায়েন্স অ্যাকাডেমির নির্বাচিত সদস্য তিনি।
প্রাণরসায়নের এই স্বনামধন্য শিক্ষক বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য। তাঁর প্রকাশিত বই এর সংখ্যা প্রায় ৫০টি। চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ে দেশি-বিদেশি জার্নালে ৭০ টির বেশি গবেষণা-প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অসংখ্য পুরস্কারের পাশাপাশি চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন শেরেবাংলা জাতীয় পুরস্কার।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ডা. শুভাগত চৌধুরীর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে এই লেখার মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে “ডা. শুভাগত চৌধুরীর স্বাস্থ্য বার্তা” সিরিজ।
টাইপ ২ ডায়েবেটিস এর রোগীদের নিম্নোক্ত ১ ডজন খাবার সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করা বা পরিহার করা উচিত:
১। রেগুলার সোডার বদলে স্ফটিক সম জল পান করুন।
২। স্মুথিস যে রকম স্বাস্থ্যকর দেখা যায় তেমন নয়।
৩। সুগার বোমা কফি পানীয় পরিহার করুন।
৪। ভাজা খাবার যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর চিকেন নাগেটস এড়িয়ে যান।
৫। চর্বি বহুল মাংসের বদলে লিন প্রোটিন খান যেমন কচি মোরগের মাংস।
৬। প্যাকেজড বা প্রসেসড মিষ্টি পরিহার করুন ।
৭। খুব নোনা আর প্যাকেজড খাবার পরিহার করুন।
৮। বিস্কিট বা সসেজ সাথে গ্রাভি পরিহার করুন।
৯। ফলের জুসের বদলে আঁশ সমৃদ্ধ গোটা ফল খান।
১০। গ্রানলা, এনারজি আর প্রোটিন বার ব্যবহারে সতর্ক হন।
১১। মিষ্টি দই এর বদলে টক দই খান।
১২। মিষ্টি সিরিয়ালের বদলে প্লেন ওট মিল খান।