প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩রা মে ২০২০
বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কোন রোগী কোথায় চিকিৎসা নেবেন বা ভর্তি হবেন তা নিয়ে ডাক্তার, রোগী, হাসপাতাল ইত্যাদি পর্যায়ে নানা রকম দ্বিধায় ভুগছেন। জাতীয় পর্যায়ে গাইডলাইন তৈরি হলেও স্থানীয় পর্যায়ে সবাই ঠিকমত এর প্রয়োগ করছেন না বলে রোগীরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তেমনি রেফারকারি ডাক্তার বা হাসপাতালও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জাতীয় কোভিড-১৯ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা গাইডলাইনে অনুসারে সকল সন্দেহভাজন/সম্ভাব্য বা নিশ্চিতকৃত কোভিড-১৯ রোগী ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
সন্দেহভাজন রোগী কারা?
—শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত অসুস্থতা ( জ্বর কিংবা শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগের ন্যুনতম যেকোন একটি লক্ষণ; যেমন- কাশি,শ্বাসকষ্ট) এবং উপসর্গ প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে ইতোপূর্বে কোভিড-১৯ এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে এমন এলাকা, দেশে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে।
অথবা
—শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত অসুস্থতাসহ কোন রোগী বা স্বাস্থ্যকর্মী যদি উপসর্গ প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে কোন নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসেন।
অথবা
—যদি কোন রোগী তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ জনিত অসুস্থতা ( জ্বর এবং শ্বাসতন্ত্র জনিত রোগের ন্যুনতম যেকোন লক্ষণ; কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং হাসপাতালে ভর্তি অবশ্য প্রয়োজনীয়) এবং উপসর্গ ব্যাখ্যায় বিকল্প কোন রোগ নির্ণয় করা অসম্ভব।
কারা সম্ভাব্য?
—সকল সন্দেহভাজন রোগী যাদের ল্যাবরেটরিতে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ফলাফল অমীমাংসিত পাওয়া গিয়েছে।
অথবা
—কোন কারণে এখনো পরীক্ষা করা হয়নি সন্দেহভাজন এমন রোগী।
কারা নিশ্চিতকৃত?
— উপসর্গসহ কিংবা উপসর্গহীন ল্যাবরেটরিতে সুনিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে এমন ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র : ন্যাশনাল গাইডলাইন
নাহিদা হিরা / নিজস্ব প্রতিবেদক