৩২ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলন আজ ১২ সেপ্টেমবর শেষ হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন এই অঞ্চলের ১১টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সম্মেলন হয়েছে।
সংস্থাটির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ১১টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভূটান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুর। এ বৈঠক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে এবং স্বাস্থ্য খাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা গঠনে ভূমিকা রাখবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সভা পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আঞ্চলিক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হল অঞ্চলিক কমিটি, যারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশের সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতি বছর একবার সমবেত হন। উভয় সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যান এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. ক্ষেত্রপাল সিংসহ সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হবে ভেক্টর-বাহিত রোগ। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় একশ’ কোটি লোক ভেক্টর-বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি নাগরিক এ সকল রোগের কারণে মৃত্যুবরণ করে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের কোটি মানুষ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস এবং কালাজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ সব রোগের বেশিরভাগই প্রতিরোধযোগ্য বা নিরাময়যোগ্য।